ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামীলীগের একাংশের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। অনুষ্ঠানের আয়োজক নেতৃবৃন্দ জানান, শনিবার সন্ধার পরে পুলিশ একটি টিম এসে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন এবং প্যান্ডেলের বাঁশসহ অন্যান্য সামগ্রী খুলে ফেলেন। আর পুলিশ বলছেন সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশংকায় অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
আয়োজনকারীদের পক্ষে সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চৌধুরী সাব্বির আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রামকান্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন জানান, ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সালথা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল, আলোচনাসভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয় শনিবার সকাল থেকে।
কিন্তু শনিবার সন্ধার পর সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদী ফোন করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বলেন। পরে সন্ধার পর সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ পাঠিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন এবং তৈরি করা অংশ খুলে ফেলেন। এসময় আয়োজক পক্ষের নেতাদের হুমকী ধামকী দেয়া হয় বলে দাবী করেন তারা।
তারা জানান, এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাদী জানান, মঞ্চ ভাঙ্গা নয় সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশংকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওখানে যদি মঞ্চ হয় তবে মারামারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অপরদিকে , নগরকান্দা উপজেলায় শোক দিবস উপলক্ষে আঃলীগের ২টি গ্রুপ বিভক্ত হয়ে পরেছে। একটি গ্রুপ হচ্ছে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর লাবু আর অন্য গ্রুপটি হচ্ছে নগরকান্দা উপজেলার তৃণমুল আঃলীগ । এই গ্রুপে আছে নগরকান্দা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কোদালিয়া শহীদ নগরের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান , আঃলীগ নেতা ও সাবেক চর যশোরদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুল বারী আলম খন্দকার প্রমুখ গং রা শোকদিবস পালন করবেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ।
অপরদিকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর গ্রুপটি শোক দিবস পালন করবে নগরকান্দা এম এন একাডেমী স্কুল মাঠে ।
নগরকান্দা উপজেলার তৃণ মুলের আঃলীগের নেতা কর্মীরা জানান , দীর্ঘ ৫/৭ বছর ধরে লাবু চৌধুরী অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি কিন্তু আর করবো না। আমাদের নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী । প্রিয় নেত্রীর শারীরিক অসুস্থ থাকার কারণে লাবু চৌধুরীকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু উনি আমাদের উপরে অতাচার , নির্যাতন , অবমূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছে । লাবু চৌধুরী আঃলীগের কোন সদস্য পদ নেই তারপরে ও আমরা তাকে আমাদের প্রিয় নেত্রীর পুত্র হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না । তাই বাধ্য হয়ে শোক দিবস পৃথকভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: