-2022-08-12-10-04-16.jpeg)
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা কাঁচা মরিচের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু ক্রমাগত ভাবে দাম বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, মধুখালী উপজেলার হাটবাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিমণ মরিচের পাইকারি দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে ৮ হাজার টাকা মণ দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রতিমণ মরিচের দাম ৮ হাজারটাকা থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা দরে আড়তদারেরা ক্রয় করছেন। এতে মরিচের পাইকারি প্রতি কেজি ২১০ টাকা এবং খুচরা বাজারে এ মরিচবিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীদের দাবি চাহিদার তুলনায় মরিচ সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে । আর জনগণ বলছে সরবরাহ কম হলেও কিছু কুচক্রী ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য এভাবে মরিচের দাম বাড়াচ্ছে ।
মধুখালী মরিচ বাজারের আড়তদার মিলন খান জানান, গত দুই দিনকাঁচা মরিচের প্রতিমণ কিনেছি ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায়। সেই মরিচের দাম বেড়ে ৮ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে আমরা ও ক্রেতারা।
আরেক মরিচের আড়তদার জাকারিয়া মুন্সী জানান, মধুখালীর মরিচ বাজার আড়ত থেকে ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরে রমনিরামপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ব্যাপারীরা আসেন মরিচ কিনতে। দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপারীদের আসা তুলনামূলক ভাবে অনেক কমেছে। আশা করি দ্রুত সময়ে এই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
ফরিদপুরের উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আলভির রহমান জানান, মধুখালী উপজেলার মাটি মরিচ চাষের জন্য উপযোগী। এ মৌসুমে মরিচের ফলন ভালো এবং দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এ বছর উপজেলায় ২হজার ৬৬৫হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে ২ হ্জাার ৬৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছিল । আগামী মৌসুমে হয়তো দামের কারনে আরো বাড়তে পারে মরিচের চাষ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: