জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজধানীর শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের কর্মসূচির উপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ গাইবান্ধা জেলা শাখা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন গাইবান্ধা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৈত্রেয় হাসান জয়িতার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ গাইবান্ধা জেলা শাখার সমন্বয়ক শামীম আরা মিনা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জেলা সংগঠক সেলিম হাসান, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের জেলা সংগঠক রিজু মিয়া এবং রাশেদীন ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৪ নভেম্বর শুধুমাত্র ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। এর ৯ মাস ১ দিন পর আবারও গত ৬ আগষ্ট থেকে প্রায় অর্ধেক দাম বাড়ানো হলো ডিজেল ও কেরোসিন তেলের। যা ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। আর পেট্রল এবং অকটেনের দাম অর্ধেকের বেশি বাড়িয়ে ৮৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা ও ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। যা অমানবিক। কেননা এর সাথে এবার পাল্লা দিয়ে বাড়বে গণপরিবহন, ভোগ্যপণ্যসহ জীবনধারনের সবধরনের উপকরণের দাম। যার ব্যয় সাধরন করা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খুবই দুরুহ হয়ে পড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে। সরকার গভীর রাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে গভীর সংকটের সৃষ্টি করেছে। এর থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে হবে। এজন্য অতিদ্রুত এই মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করে পূর্বের দাম বহাল রাখতে হবে।
এই জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জানিয়ে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। লোডশেডিং বন্ধসহ গ্যাস, ওষুধ ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ১৬ টাকা হিসেবে ৫০ কেজি বস্তার দাম ছিল ৮০০ টাকা। কিন্তু গত ১ আগষ্ট থেকে কেজি প্রতি ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। যা বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৩০০ টাকা। এতে করে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে। ফলে তারা ফসল উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আর তাই সারের বর্ধিত মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: