পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে আনারসের চাষ। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
জানা যায়, এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় আনারসের চাষ হয়েছে যা দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ কেউ স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করেছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ একর পতিত জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে।
উপজেলার কয়েকজন চাষির বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আনারস চাষের উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও দশমিনা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা যায়, জেলার লেবুখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে জায়েন্ট কিউ ও জলডুবি প্রজাতির আনারস চারা সরবরাহ করেছে।
উপজেলার রণগোপালদী গ্রামের চাষি শাহ আলম জোমাদ্দার সময় ট্রিবিউনকে জানান, আমি অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদন করি। আনারস চাষে সঠিক ফলন পেলে খরচের প্রায় তিন-চার গুণ লাভ হয়। তাই আমি এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ করেছি। জেলার লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমার লাগানো সকল আনারস চারা বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। আমি প্রায় অর্ধ একর পতিত জমিতে আনারস চাষ করেছি। আশা করি অনেক ভালো ফলন পাব। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর নিয়মিত আমার ভালো খোঁজখবর নেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ গ্রামের চাষি সুলতান সরদার সময় ট্রিবিউনকে জানান, জেলার লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে জায়েন্ট কিউ ও জলডুবি প্রজাতির দুই হাজার আনারসের চারা পেয়ে আমার অর্ধ একর পতিত জমিতে চাষ করেছি। ফলনও ভালো হচ্ছে। আশা করি, আমি অনেক লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহমেদ সময় ট্রিবিউনকে জানান, আনারস চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না। উপজেলার পতিত জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে আনারস চাষে চাষীদেরকে উদ্ধুদ্ধকরণ করা হয়েছে। আনারস উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে আনারস চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: