প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচারকালে কিশোরী উদ্ধার: আটক ২

মোশতাক আহমেদ শাওন | ১১ আগষ্ট ২০২২, ০৪:০৭

সংগৃহীত

প্রেমের ফাঁদে পেলে নারায়ণগঞ্জের এক কিশোরী (১৫) কে ভারতে পাচারকালে ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

ওই কিশোরীর প্রেমিক রনি তাকে বিয়ের প্রলোভনে ঘরছাড়া করে। আটকের পূর্বমুহুর্তেও সে জনতা যে তাকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো- মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার ভীটু হোগলা কান্দির মোক্তার হোসেনের পুত্র হাসান (১৮) ও চানপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গোয়ালঘরের শাহজাহানের পুত্র শামিম ওরফে রাকিব (১৮)। তারা উভয়েই উদ্ধার হওয়া কিশোরীর প্রেমিক রনির সহোযোগি।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে উদ্ধার হওয়া কিশোরীসহ আটককৃত দুই মানবপাচারকারীকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এরআগে আসে সোমবার ৮ আগস্ট দুপুরে ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধারসহ ওই দুই মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়।

এদিকে গত ৭ আগস্ট রাতে কিশোরীর বাবা সোহেল বাদী হয়ে কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার নং- ৫৩৫।

উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, সে গত এক বছর ধরে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে আসছে। অপরদিকে রনি ছয় মাস পূর্বে একই গার্মেন্টে চাকুরীতে যোগদান করে এবং সস্তাপুর এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে। চাকুরীর সুবাদে রনির সাথে পাঁচ মাস পূর্বে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে রনির শলারামর্শে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সিদ্ধান্ত নেয় গার্মেন্টস থেকে বেতন পেয়ে তারা পালিয়ে যাবে। রনি তখন কিশোরী কে জানায় তার বন্ধু হাসান তাকে গার্মেন্টসের সামনে থেকে নিয়ে যাবে।

সে মোতাবেক ৭ আগস্ট রাতে বেতন পেয়ে কিশোরী গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে হাসানের সাথে রিক্সায় করে রনির নিকট যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। অতপর রিক্সা ছেড়ে সিএনজি নেয়। পথিমধ্যে তাদের সাথে যোগ দেয় শামিম ওরফে রাকিব নামক হাসানের পরিচিত এক সহোযোগি।

তারা তখন বাসে চড়ে চলে যায় ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে তারা দুপুর দুইটার দিকে বিজিবির হাতে আটক হয়। আটক হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত সে বুজতে পারেনি তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রেমের অভিনয়ে প্রেমিক রনি মানবপাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দিয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, মেয়েটিকে পাচারের উদ্দশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। তার কথিত প্রেমিক মূল হোতা রনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: