চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি হচ্ছে নানারকম মিষ্টি। হাতের স্পর্শ ছাড়াই তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু সব মিষ্টি। এতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি সাশ্রয় হচ্ছে অর্থ। কমে আসছে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা। ফলে কিছুটা কম দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোক্তাপ্রিয় মিষ্টান্ন। আগামীতে মিষ্টি তৈরিতে মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠরা।
আলমডাঙ্গা শহরের জনপ্রিয় মিষ্টি বিক্রেতা হারান কুমার অধিকারী। ৪২ বছর ধরে তিনি মিষ্টির ব্যবসা করছেন। ভোক্তা চাহিদার কারণে দিনে দিনে বেড়েছে তাঁর মিষ্টির উৎপাদন। চাহিদা ও শ্রমিক সংকটের কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে এনেছেন স্বয়ংক্রিয় মিষ্টি তৈরির বৈদ্যুতিক মেশিন। যাতে মিষ্টি তৈরির উপাদান দিয়ে দিলেই তৈরি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও আকারের মিষ্টি।
বিক্রেতা জানান, আগে কারিগরের হাতে দিনে ৬০/৭০ কেজি ছানার মিষ্টি হতো। এখন মেশিনে দৈনিক ১৫০ কেজি ছানার মিষ্টি করা যায়। সংশ্লিষ্ঠরা জানান, সুদক্ষ ময়রার হাতের স্পর্শ নয়। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক মেশিনে তৈরি হচ্ছে নানা স্বাদের মিষ্টি। মিষ্টি ব্যবসায়ী হারান কুমারের ‘অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডার’ বর্তমানে হাতের পরিবর্তে মেশিনে তৈরি করছে মিষ্টি। ব্যবসায়ীর দাবী এতে খরচ সাশ্রয় হওয়ায় মিষ্টির দামও কমেছে। আগামীতে মিষ্টি তৈরির সব স্তর পার হবে মেশিনে। তখন সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই তৈরি হবে মিষ্টি।
কারিগররা জানান, দুধের ছানার সাথে প্রয়োজনীয় উপকরণ মিশিয়ে মেশিনে দিলেই তৈরি হচ্ছে নানা আকৃতির মিষ্টি। মেশিনের ডাইস বদলে দিলেই তৈরি হচ্ছে চমচম, রসগোল্লা, রসমালাই। তারপর তা মিষ্টি রসের সিরায় ডুবিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টান্ন।
ক্রেতা সাধন চন্দ্র জানান, তিনি অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের নিয়মিত ক্রেতা। বর্তমানে এই দোকানে হাতের স্পর্শ ছাড়া মেশিনে মিষ্টি তৈরি হওয়ায় এগুলো আগের চেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে বলে তিনি মনে করেন।
অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী হারান কুমার অধিকারী বলেন, স্বাস্থ্যকর মিষ্টি তৈরি জন্য মেশিনের ব্যবহার করা হচ্ছে। আমদানীকারকের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা হয়েছে মিষ্টি তৈরির মেশিন। আগামীতে দেশের সব মিষ্টির দোকানে ব্যবহার হবে স্বয়ংক্রিয় এ মেশিন, এমনটাই প্রত্যাশা অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডার সংশ্লিষ্টদের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: