শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের উত্তর পলাশীকুড়া গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে আছিয়া বেগম (২২) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সকালে ঔ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আছিয়া বেগম ওই গ্রামের আবু হানিফের স্ত্রী।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আবু হানিফ, শশুর আলাল উদ্দিন ও শাশুরী জয়ফুল বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর পুর্বে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াঁগাও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে কাঠমিস্ত্রী মো.আবু হানিফের সাথে পাশ্ববর্তী বাতকুঁচি গ্রামের আবু বকরের কন্যা আছিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শশুর-শাশুড়ীর সাথে প্রতিনিয়ত কলহ লেগেই থাকত।
সোমবার রাতে পুত্রবধু আছিয়ার কাছে চা খেতে চায় শাশুড়ী জয়ফুল। এতে আছিয়া অস্বীকৃতি জানায়। এনিয়ে বৌ শাশুড়ীর মাঝে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে স্বামী আবু হানিফ স্ত্রী আছিয়াকে চর থাপ্পর মারেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে স্বামী কাঠমিস্ত্রী আবু হানিফ কাজে চলে যায়। বেলা এগারো টার দিকে শাশুড়ী ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেলে ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পরে ২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে থানা পুলিশ বসত ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেচাঁনো অবস্থায় আছিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে, আছিয়ার স্বামী আবু হানিফ জানান, সোমবার রাতে আমার মায়ের সাথে আমার স্ত্রীর সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। এছাড়াও আমার স্ত্রী যক্ষারোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসাও চলছে।
আছিয়ার মা হাবিতন বেগম বলেন, মেয়ের বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক গন্ডগোল লেগেই থাকত। আমার মেয়ে ফাঁসিতে মারা যায়নি। তার শশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ওসি তদন্ত মো. আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রকৃত কারন জানা যাবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও শশুর-শাশুড়ীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: