সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীর ডেমরারসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বিভিন্নস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে দিনমজুররা। অল্পবৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলো পানি উঠে গেছে।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) সকাল ১০ টার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আর দুপুর নাগাদ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
সামান্য একটু বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় ডেমরা-যাত্রাবাড়ীর (ডগাইর, নিঝুমবাগ, রানীমহল, সাইনবোর্ড, পাইটি, ঠুলঠুলিয়া, মহাকাশ রোড, টেংরা, কোনাপাড়া, বাদশা মিয়া রোড, ধার্মিকপাড়া, মাতুয়াইলসহ) বিভিন্ন এলাকায় যানজট ও জলাবদ্ধতা। ডেমরা-যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে বলে অভিযোগ রয়েছে এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের। প্রায়ই এ রাস্তায় রিকশা, অটো-রিকশা, সিএনজিসহ যানবাহন উল্টে পড়ে।
মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে বৃষ্টিতে ডেমরার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে যায়। আর ভারী ও টানা বৃষ্টিতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলা হয়। ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হয়।
সামসুল হক খান স্কুলের বাদশা মিয়া রোডের রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পথচারী-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে।
স্থানীয় মাসুদ মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, হাজী বাদশা মিয়া রোডে অল্প বৃষ্টি হলে প্রধান সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি হয়ে যায় এমনকি এই পানি অনেক দিন জমে থাকে। হাজার হাজার মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। ঢাকা-৫ এর মাননীয় এমপি মহোদয় এবং ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মহোদয় কে দ্রুত সমাধান করার দাবি জানান তিনি।
ডেমরার রানীমহলের বাসিন্দা সালাউদ্দিন বলেন, রানিমহল ব্রীজের পাশে রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নাজেহাল এই রাস্তাটিতে প্রায়ই রিক্সা, পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। স্থানীয় তিতাস উচ্চ বিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে এই সড়কে চলাচল করছে। প্রতিকারের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাদশা মিয়া রোডে চলাচলকারী সামসুল হক খান স্কুলের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার পরিস্থিতি খুবই বাজে রূপ ধারণ করে। পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকি।
এ সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালক রাফিম জামান বলেন, বাদশা মিয়া রোড ও ভুট্রু চত্বরের পানির মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চলানোর সময় রাস্তার অবস্থা বোঝা যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। অতি দ্রুত জনসাধারণের দুর্ভোগ কমানোর দাবি রইলো।
সামসুল হক খান স্কুলের পাশে হাজী বাদশা মিয়া রোডের জলাবদ্ধতার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে স্থানীয় ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুদ্দিন সেন্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে ও তাকে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে ৬৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিন সাউদ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াটা দুঃখজনক। নিচুঁ রাস্তা ও অপেক্ষাকৃত নিচুঁতে থাকা বাসাবাড়ির জনসাধারণকে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়।মাননীয় মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের সার্বিক সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি জনসাধারণ দ্রুত এ সমস্যার প্রতিকার পাবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: