স্থানীয় নেতাকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় নরায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপির সমাবেশে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সারা দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়াজন করে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে দুপুর একটা থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও নেতা-কর্মীদের আসা শুরু হয় দুইটা থেকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আলাদাভাবে এই সামাবেশে যোগ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একে একে বক্তব্য দিতে থাকলে স্থানীয় কোন এক নেতাকে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় তার কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিকেল চারটার দিকে শহীদ মিনারের মূল ফটকের সামনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই তারা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। অন্তত দশ মিনিট ধরে চলে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের এক নেতাকে সমাবেশে বক্তব্য দতে না দেয়ায় তার কর্মী সমর্থকরা আয়োজকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে এক পর্যায়ে হাতাহাতি, লাঠিসোটা নয়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে আমাদের সিনিয়র তাদের মিলিয়ে দেন।
এদিকে বিএনপির এই সমাবেশে শহীদ মিনারের পাদদেশে জুতা পরে অনেক নেতা কর্মী অবস্থান নিয়েছেন। জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে বসে তারা শহীদ মিনারকে অসম্মান করতে দেখা গেছে তাদের। সমাবেশের নামে বিএনপির নেতা কর্মীরা শহীদ মিনার ও ভাষা শহীদদের অবমাননা বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, আমি দুপুর বারোটা থেকে মঞ্চে ছিলাম। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে রিসিভ করছিলাম। কোথাও মারামারি হয়েছে আমার জানা নাই। দলের কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: