কিশোরী অপহরণ: ফেসবুকে মুখ বাঁধা ছবি, মেরে ফেলার বার্তা

মো. রাজন মিয়া, শেরপুর | ৩০ জুলাই ২০২২, ১০:০২

সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে তার‌ই ফেসবুক আইডিতে ছবি সহ আতংকিত বার্তা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, অপহরণকৃত সেই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক কিশোরীর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে মুখ বাঁধা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানে মেয়েটির নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘খুঁজে লাভ নেই, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর জন্য ওর বাবা-মা দায়ী।’

নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের বনকুড়া এলাকার বাসিন্দা ওই ভিকটিম বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ফেসবুক আইডিটি ডিঅ্যাকটিভ থাকলেও নালিতাবাড়ী বার্তা নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানান, গত রোববার সকাল ১০টার দিকে কেউ একজন মেয়েটির মায়ের মুঠোফোনে কল করে সংসদ সদস্যের ফান্ড থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে স্কুলে ডেকে আনে। এরপর‌ই অপহরণ করা হয় মেয়েটিকে।

এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেছেন ভিকটিম স্কুলছাত্রীর বাবা।

এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ফেসবুক আইডি থেকেই তার মুখ বাঁধা একটি ছবি পোস্ট করা হয় ২৬ জুলাই মঙ্গলবার রাতে।
এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুক আইডিটি ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী মেয়েটির ভাই বলেন, ‘কয়েকদিন আগে গাজীপুরের বাসিন্দা মেহেদী হাসান নামে একজন মুঠোফোনে কল করে আমাকে বলেন- আপনার বোনের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়। তারপর আমরা ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছি। আপনার বোন আমার মায়ের সঙ্গে অনেক কথা বলেছে। এখন আপনার বোন অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে বলে শুনেছি। এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না।’ সে আরও জানায়, ‘আমাকে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেই একই নম্বর থেকে আমার মাকে ফোন করে ওইদিন আমার বোনকে স্কুলে ডেকে নেওয়া হয় এবং এরপরই আমার বোনকে অপহরণ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বছির আহমেদ বাদল বলেন,আমরা মেয়েটির মুখবাঁধা ছবিটি পেয়েছি। মেয়েটির মোবাইল সিডিআর পরীক্ষা করেছি। এতে জানা গেছে মেয়েটি গাজিপুরেই থাকত এবং তখন থেকেই একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।' তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই ছেলেটির পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের একটি টিম গাজিপুরে আছে। শিঘ্রই তাকে গ্রেফতার ও মেয়েটিকে উদ্ধারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: