গাইবান্ধা জেলা শহরের গোবিন্দপুর মৌজায় শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করায় তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে উপকারভোগী সমন্বয় সভা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে সদর উপজেলার নশরতপুরে গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এনজিও কর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, সংগঠক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক আন্দোলনকারী নেতা আমিনুল ইসলাম গোলাপের সভাপতিত্বে ও বেলার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যালের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় আন্দোলনকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম রাজা, জিয়াউল হক জনি, প্রণব চৌধুরী রোকন, মোস্তফা মনিররুজ্জামান, মনজুর আলম মিঠু, রোকেয়া খাতুন, ইসরাত জাহান লিপি, রেজাউল করিম ও মোছা. কলি প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, গাইবান্ধা শহরের গোবিন্দপুর মৌজায় এক দশমিক শূন্য পাঁচ একর বিশিষ্ট জেলা পরিষদের যে শতবর্ষী পুকুর রয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুন নেভানোসহ সেটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এসকল বিষয় উপেক্ষা করে গত বছর জনগুরুত্বপূর্ণ এই পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অমানবিক ও মর্মান্তিক।
সামাজিকভাবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পুকুর ভরাট বন্ধে আন্দোলনের পরও পুকুর ভরাট বন্ধ করা হয়নি। পরে পুকুর ভরাট বন্ধ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে একই বছর উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত পুকুর ভরাট বন্ধ রাখতে ও ভরাটকৃত স্থানে অডিটরিয়ামসহ অন্য যে কোন স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে জেলা পরিষদ পুকুর ভরাট বন্ধ না করে তা ভরাট করে ফেলে এবং ভরাট করা পুকুরের স্থানে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ফলে ওই এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই সভা থেকে, শতবর্ষী এই পুকুরটি রক্ষায় উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সমস্যায় আন্দোলনকারী সুকুমার চন্দ্র মোদক, সাংবাদিক জাভেদ হোসেন, রিপন আকন্দ, রওশন আলম পাপুল ও রফিকুল ইসলাম রফিকসহ আরো অনেকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: