সারা বিশ্বের জনগন এখন নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে গর্ব করে : এসপি জায়েদুল

মোশতাক আহমেদ শাওন | ২৮ জুলাই ২০২২, ০৭:৩১

সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের এসপি (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন, আমার এই জেলায় যখন পদায়ন হলো তখন নারায়ণগঞ্জ নিয়ে মিডিয়ায় এমন একটি অবস্থা তৈরি হলো, এমন ভাবে নারায়ণগঞ্জকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপিত হলো যেনো একটি সন্ত্রাসের জনপদ এমন একটা পরিস্থিতি ছিলো। সেই পরিস্থিতিতে আমাকে পদায়ন করা হয়েছিলো, আমি এসেছিলাম।

আড়াই বছর পরে আমি বলতে পারি নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে সকল মিডিয়া, সকল সুশিল সমাজ, সারা বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের জনগন এখন নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে গর্ব করে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এখন ভালো আছে। এটা আপনারা করেছেন, আপনাদের সহযোগীতায় হয়েছে। আমি আশা রাখবো এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।

বুধবার (২৭ জুলাই) জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে নবগঠিত জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ মহিলা সংস্থার সভাপতি সালমা ওসমান লিপি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দনশীল, সাধারণ সম্পাদক তানবীর আহমেদ টিটু প্রমুখ।

এ সময় এসপি জায়েদুল আরও বলেন, আমাদের মাননীয় আইজীপি ডা. বেনজীর আহম্মেদ (বিপিএম বার) আমাদের মাঝে একটি পুলিশি নতুন দ্বারা নিয়ে এসেছেন বিট পুলিশিং অথ্যাৎ প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিট পুলিশিং এর অফিস করা এবং আপনাদের সেবা দেওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা আজকের এই জেলা কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করেছিলাম, আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আপনারা সবাই তাদরেকে চেনেন। তারা অতান্ত্য পরিশ্রমি এবং জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যদি সেবা করতে চাই পুলিশের সেবাকে যদি অপনাদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই তাহলে কমিউনিটি পুলিশ সবচেয়ে সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং আপনাদের নিয়ে কাজ করবে, আপনারাই পুলিশ। বলা হয়েছে জনতাই পুলিশ, পুলিশিই জনতা। অর্থ্যাৎ আপনারা প্রত্যেকে পুলিশের ভূমিকা পালন করবেন। এই পুলিশিং টা কি? আপনি কি আসামি ধরবেন? আপনি কি মামলা নিবেন? আপনি কি আসামি কোর্টে দিবেন? না সেটা না। আপনি সমাজের একটা সার্বিক বন্ধন। এই বন্ধনকে অটুট রেখে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবেন সকলে মিলে। আপনাদের কমটিতে আইনজীবিরা আছেন, সাংবাদিকরা আছেন, রাজনীতিবীদরা আছেন, কলেজের প্রিন্সিপাল আছেন, মাদ্রাসার মাওলানা সাহেবরাও আছেন। সকল শ্রেনী পেশার লোকরা আছেন। তারা একত্রিত হয়ে সমাজের যে কোন সমস্যার সমাধান করবেন।

তিনি আরোও বলেন, জেলা কমিটি থাকবে, মহানগর কমিটি থাকবে তারপর থানা কমিটি থাকবে, ইউনিয়ন কমিটি থাকবে, ওর্য়াড কমিটি থাকবে এবং তৃনমূল পর্যায় এই কমিটি কাজ করবে। আমার মনে হয় এই কমিটিকে সঠিক ভাবে কাজ করানো যায় তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার কমিউনিটি পুলিশিং হবে।

এই দুই থেকে আড়াই হাজার লোক কাজ করলে নারায়ণগঞ্জে ইভটিজিং বলেন, বাল্য বিবাহ বলেন, মাদক বলেন, আমার মনে হয়না এইটা থাকতে পারবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: