কারেন্ট জাল পুড়াতে গিয়ে ৩ জেলের গায়ে আগুন: অবরুদ্ধ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ

মো. রাজন মিয়া, শেরপুর | ২৭ জুলাই ২০২২, ০৮:৩১

সংগৃহীত

শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশা বেপারি পাড়া এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টে কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার সময় ৩ জেলে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় স্থানীয় জনতা ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশকে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দিলে জনতা অবরোধ তুলে নেয়।

অগ্নিদগ্ধরা হলো, মৃত দুলতা বেপারীর ছেলে মো. সাউদ মিয়া(৪০), আ.আজিজ মিয়ার ছেলে মো.জবেদ আলী (৩২), ও মৃত ইনসান আলির ছেলে ইয়াকুব আলী (৪০)। তাদের সকলেই ৭ নং ভাতশালা ইউনিয়ন ছনকান্দা গ্রামের ইলশা বেপারীপাড়ার বাসিন্দা।

জানা যায়, আহতরা বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে সদর উপজেলার ৭নং ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দা গ্রামের ইলশা বেপারী পাড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মৃগি নদীতে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ ধরার সময় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল মোহাম্মদ হোসাইন এর নেতৃত্বে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা তাসমিমসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

এসময় নদী থেকে কারেন্টজাল উদ্ধার করে মোবাইল কোর্টের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মোহাম্মদ হোসাইন আটককৃত জাল পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়।

এসময় মোবাইল কোর্টের পুলিশ সদস্যরা জালে আগুন দিতে গেলে জালের মালিকরা বাঁধা দিতে গেলে তারাসহ অগ্নদগ্ধ হয়ে যায়। এখবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। মোবাইল কোর্টের বিচারক সহকারী কমিশনার উজ্জল মহাম্মদ হোসাইন ও মৎস্য কর্মকর্তা সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান ও আরো একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই বিচারককে উদ্ধার করে। কিন্তু স্থানীয়রা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং আবারও রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও ৭নং ভাতশালা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার এসে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে আস্বস্ত করলে জনতা অবরোধ তুলে নেয়।

এ বিষয়ে সদর সার্কেল মো. হান্নান মিয়া বলেন, জনতা রাস্তা অবরোধ করেছে তাদের আবেগ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য। আমরা বিষয়টা দেখার আশ্বাস দিলে এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: