কুয়াকাটায় কাউন্টার ম্যানেজারের বিকৃত আচরণের শিকার প্যানেল মেয়র

মোঃআল-আমিন কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি | ২৬ জুলাই ২০২২, ০৬:৪৩

সংগৃহীত

উল্লেখ্যঃগত ২২জুলাই শনিবার রাতে ৩নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও কুয়াকাটা প্যানেল মেয়র মোঃমনির শরীফ কর্তৃক গ্রীন লাইন কাউন্টার ম্যানেজারকে পেটানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সময় ট্রিবিউনকে বলেন,আমি তাকে টিকিট রাখতে বলেছি কথাটা সত্য, আমি তাকে বলেছিলাম আমি ঢাকায় যাব, আমার জন্য অনলাইনে টিকিট বুকিং দিয়ে রাখো। সে আমাকে বলল আচ্ছা ভাই আমি টিকিট বুকিং দিচ্ছি। এখানে কোন প্রকার টাকা পয়সা কথা উল্লেখ করা হয় নাই। বরং ওই সময় হাসি তামাসা করি দুই জন।

 তবে আমি মনে করেছিলাম, গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টার আমাদের প্রতিষ্ঠানে।এই ম্যানেজারের থাকা খাওয়া এবং আত্মীয়-স্বজন বলতে আমরাই ছিলাম।তাই আমি টাকা দেইনি, আমি বলছিলাম গাড়িতে উঠার সময় টিকিটের টাকা পরিশোধ করব। সে আমাকে বলল আচ্ছা ভাই, সময়মতো গাড়িতে চলে আসবেন।

 আমি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে এসে দেখি সে আমার জন্য কোন টিকিট বুকিং করেন নি।এবং তার গাড়ির টোটাল সিট বিক্রি করা হয়েছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার টিকিট কই, সে বলল আপনি তো টিকিটের টাকা দেননি। তখন আমি বললাম তুমি নিজে বললা সিট রেখে দিবা, এখন আবার বলতেছো সিট নাই?, আমি তখনও তার সাথে হাসি তামাসার মত কথা বলি।যখন আমি আবার তার কাছে সিটের কথা জিজ্ঞাসা করি,সে আমার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে তখন আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় পরে তারা আমাকে শান্ত করে। 

 আমি একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তারা আমাকে সম্মান দিল না, এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

আমি তখন তাদেরকে বলি তোমরা আমার সাথে এরকম আচরণ করছ। পর্যটকের সাথে এর চাইতে বেশি খারাপ আচরণ করো বুঝি। তখনই সে উচ্চস্বরে আমার সাথে তর্ক জড়ায়।কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে আমাকে সবাই সরিয়ে নিয়ে যায়।

তাহার আচার-আচরণে আমি রীতিমতো বাকরুদ্ধ।এসময় কাউন্টার ম্যানেজারকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবী তোলেন ভুক্তভোগী প্যানেল মেয়র।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় তার আচার-আচরণে অতিষ্ট যাত্রীরা।

টিকিটের টাকা বাড়তি রাখা এবং যাত্রীদের সাথে অসাদাচারন সহ এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল সমুদ্র বিলাসের ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোঃইসমাইল ইমন জানান,ওর মত বেয়াদব ম্যানেজার আর একটাও কুয়াকাটা নাই।সে গ্রীন লাইনে চাকুরি করে বলে খুব হ্যাডাম দেখায়।ওর মত বেয়াদবের কারনেই স্বনামধন্য গ্রীন লাইন পরিবহনের বদনাম হয়।আমি বরং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাকে চাকুরিচুত্য করতে।

কুয়াকাটা তরুণ ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহিদ কাউন্টার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,ওনার বিকৃত আচরনে আমি নিজেও শিকার ওনার কথা বার্তার ডাইস ভালো না,কথাবার্তা শুনলে মনে হয় গ্রীনলাইনের মালিক উনি নিজেই

কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ওনাকে এখান থেকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: