সোনারগাঁয়ে জব্দকৃত অবৈধ মদের মূল্য ৩৭কোটি টাকা

মোশতাক আহমেদ শাওন | ২৫ জুলাই ২০২২, ১১:২৪

সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র‌্যাব-১১ কর্তৃক আটককৃত মদের বড় ২টি চালানের কনটেইনার গাড়ি থেকে প্রায় ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। যার মূল্য ৩৭ কোটি টাকা। গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে অভিনব কায়দায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এ মদ আনা হয়েছে। র‌্যাব এ অবৈধ মদ আমদানি কারবারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদ (২২)সহ সাইফুল ইসলাম (৩২) ও মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ।

রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।  

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, শনিবার (২৩ জুলাই) র‌্যাব-১১ এর নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল সকালে সোনারগাঁ থানার টিপর্দি সালাউদ্দিনের পার্কিং স্ট্যান্ডের সামনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক বিভিন্ন মালবাহী ট্রাক ও কনটেইনারসহ টেইলার তল্লাশি শুরু করে। 

একপর্যায়ে সন্দেহজনক দুটি কনটেইনার টেইলার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মাদকের মূল্য ৩১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ভ্যাটসহ মূল্য দাঁড়ায় ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসময় সাইফুল ইসলাম (৩২) ও মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযানের ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহাদ মাদক আমদানি ও বিপণনের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি আরো বলেন, এরপর এ অবৈধ চালান আমদানি কারবারের সঙ্গে জড়িত ঢাকার ওয়ারীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকা ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, নেপালি রুপি ১৫ হাজার ৯৩৫, ভারতীয় রুপি ২০ হাজার ১৪৫, চায়না ইওয়ান ১১ হাজার ৪৪৩, ইউরো ৪ হাজার ২৫৫, থাই বার্থ ৭ হাজার ৪৪০, সিংগাপুর ডলার ৯ এবং মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ১৫। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, এ মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা আহাদ এবং মিজানুর রহমান আশিক সম্পর্কে সহোদর। তাদের বাবার নাম মো. আজিজুল ইসলাম। তারা এক বছর ধরে এ কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা সিঅ্যান্ডএফের যোগসাজশের মাধ্যমে মাদক আমদানি কার্যক্রম চালাতো। মাদক আমদানির ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাগজপত্র ব্যবহার করতো। এ চক্রটি দেশে টিভি ও গাড়ির পার্টস ব্যবসার আড়ালে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিপণন নেটওয়ার্ক তৈরি করে। 

অবৈধ মাদক বিদেশ থেকে আনার পরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, রাজধানীর বংশাল ও ওয়ারীতে ওয়্যার হাউজে রাখতেন। পরবর্তীসময়ে সুবিধাজনক সময়ে এসব অবৈধ মাদক বিপণন করতেন। ক্ষেত্রবিশেষে ট্রাক ও কনটেইনার থেকে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হতো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: