সন্ধ্যার আলো পেরিয়ে অন্ধকার নামে জনপদে 

শফিকুল ইসলাম | ২৫ জুলাই ২০২২, ১০:৫৬

সংগৃহীত

সন্ধ্যার আলো পশ্চিম আকাশে লুটিয়ে পরে মাগরিবের আযানের পরপরই। চারদিকে তখন জ্বলে উঠে বৈদ্যুতিক আলো। তবে সেই আলো টিকে না বেশিক্ষণ। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কাঙ্ক্ষিত সময় হলেই চারদিকের আলো নিভানোর ব্যস্ততায় শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। এভাবেই অন্ধকার নেমে আসে জনপদে। সরকারি নির্দেশনা মানতেই চলে এই আয়োজন।

গত সোমবার দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় ইস্যুতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা আসে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এরপর থেকে শহর থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ে করা হয়েছে মাইকিং। 

রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেদক পিরোজপুর জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে কথা বলছেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের সাথে।জানতে চেষ্টা করেছেন ব্যবসায়ীদের কথা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা মানছেন প্রায় সবাই। দেশের প্রয়োজনে এমন নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তবে আছে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য। 

তাঁরা বলছেন, সন্ধ্যা হয় সাতটায় দোকান বন্ধ করতে হচ্ছে আটটায়। আলো জ্বালিয়ে আবার নিভিয়ে ফেলতে হচ্ছে। ফলে বন্ধ থাকছে রাত্রিকালিন বেচা কেনা।

কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা করোনার সময় মালামাল বিক্রি করতে পারলেও এবারে ওষুধ ও খাবার হোটেল ছাড়া সবই বন্ধের কথা বলা হয়েছে মাইকিং এ। ফলে কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে কিছু কিছু জায়গায় ফুটপাতের কাচামালের দোকান গুলো বিদ্যুৎ ব্যবহার ছাড়া খোলা রাখতে দেখা গেছে। 

রাত আটটায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাত যত বেড়েছে তত কমে গেছে গ্রামীন জনপদে যাত্রী চলাচল।

স্থানীয় প্রশাসন বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা পালনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দোকান বন্ধের ঘোষণাটি । জেলা, উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার মনিটরিং করেছে। আইন অমান্য করলে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর