শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে রাস্তার দুই ধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগকে ঘিরে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
স্থানীয় একটি পক্ষের দাবি এটা চেয়ারম্যানের নির্দেশে হয়েছে অপরদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও অবান্তর বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ভোটের রাজনীতি থেকে শুরু করে নির্বাচন পরবর্তী সুনামের সাথে পরিষদ পরিচালনায় ঈর্ষাণীয় হয়ে একটি চক্র এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, আমার ২ যুগের রাজনৈতিক জীবনে একটা কলঙ্কের দাগ নেই।
ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করার ফল স্বরুপ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেন। এতে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডের রাস্তার ধারে গাছ কাটার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি চেয়ারম্যান কে অবগত করেছি।
পরে তিনি সাথে সাথেই লছমনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে কাটা গাছ গুলো জব্দ করে ভূমি অফিসে রাখেন তিনি। কিন্তু উল্টো তার বিরুদ্ধেই গাছ কাটার অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি যত গাছ আছে তা কাটতে হলে বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে ও বন বিভাগকর্তৃক মূল্য নির্ধারণ করিয়ে নিতে হবে। কিন্তু রাস্তার ধারে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের কাছে কেউ অনুমতি নেয়নি বিধায় গাছ কাটা অবৈধ হয়েছে।
শেরপুর এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গাছ কাটার ঘটনাটা আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, রাস্তার ধারে গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে আমার বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান গাছ কাটার খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের মাধ্যমে জব্দ করে কিন্তু আমাকে জানাতে দেরি করার প্রেক্ষিতে তিনি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু এই কথাটি গনমাধ্যমে অন্য ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: