পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন আর বি রাইস ব্রান ওয়েল মিল স্থাপনে বাঁধা প্রদান ও কারখানা মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে চক্রটি কারখানা স্থাপনে বাঁধা ও নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ইস্তা মহল্লায় নির্মাণাধীন কারখানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ী মধু বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে মধু বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি মেনে আর বি রাইস ব্রান ওয়েল মিল নির্মাণে কাজ শুরু করা হয়। কাজ শুরুর তিন মাস পর থেকে স্থানীয় একটি স্বার্থন্বেষী মহল নানাভাবে বাধা ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। ঈদুল আযহার পূর্বে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঈদের পর মিল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
গত শুক্রবার (২২ জুলাই) ওই চক্রটি কতিপয় লোকজনকে নিয়ে নির্মাণাধীন কারখানার সামনে মানববন্ধন করে আমাকে মারধর ও মিল ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়।
মধু বিশ্বাস বলেন, চক্রটি নানা মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তারা বলেছে, এখানকার বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হবে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। অন্যান্য মিলের মতো বর্জ্য অপসারণে এখানে ম্যানুয়েল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে না। উন্নত বিশ্বের অত্যাধুনিক জিরো লিকুইড ওয়াটার পদ্ধতি এখানে ব্যবহার করা হবে। এতে পানির ব্যবহার খুব কম হবে। ব্যবহৃত ওই পানি পুনরায় পরিশোধন করে ব্যবহার করা হবে। এখানে বর্জ্য বলে কিছু থাকবে না। কালো ধোঁয়া বা বাতাসে ছাই উড়ার কোন সুযোগ নেই। কালো ধোঁয়া নিরসনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এতে ধোঁয়া সম্পূর্ণভাবে দুষণমুক্ত হবে। মিলের ছাই একটি গোডাউনে রাখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর তা বস্তাবন্দি করে বা ট্রাক পর্দা দিয়ে মুড়িয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। এতে পরিবেশের বিন্দুমাত্র ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। এলাকাবাসীকে মিথ্যা তথ্য ও ভুল বুঝিয়ে ওই দুস্কৃতিকারীরা নিজেদের স্বার্থ হাছিলের চেষ্টা করছেন। তিনি চাঁদাবাজদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ব্যবসায়ী মধু বিশ্বাস আরো বলেন, নির্মানাধীন আর বি রাইস ব্রান ওয়েল মিলের উৎপাদিত পণ্য শতভাগ বিদেশে রপ্তানী করা হবে। এতে দেশে বৈদেশিক আয় বাড়বে। পাশাপাশি এই কারখানায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ ওয়েল মিল নির্মিত হচ্ছে। তাই পরিবেশ বিপর্যয়ের কোন ধরনের আশংকা নেই। কারো মিথ্যা প্রলোভনে কান না দিয়ে এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মসলেম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূর আলী, ব্যবসায়ী ঈদ্রিস আলী মন্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, পৌরসভার কাউন্সিলর ইউসুফ আলী প্রধানসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: