বিসিআইসি ডিলারদের বরাদ্দপ্রাপ্ত স্থানে ব্যবসা না করার অভিযোগ

বিজয় ঘোষ, রাজশাহী | ২৪ জুলাই ২০২২, ০৭:১১

সংগৃহীত

রাজশাহীতে বিসিআইসি ডিলারদের বরাদ্দপ্রাপ্ত স্থানে ব্যবসা না করে অন্যস্থানে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকদের সময় ও অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। তাই প্রশাসনের নিকট বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এলাকার কৃষকরা

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ৮৯ টি বিসিআইসি ডিলার রয়েছে। বোয়ালিয়ায় ১ টি, মতিহারে ১টি, পবা উপজেলায় ১১টি, তানোর উপজেলায় ৯টি, মোহনপুর উপজেলায় ৪টি, বাগমারা  উপজেলায় ১৮ টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ৯টি, পুঠিয়া উপজেলায় ৮টি, গোদাগাড়ী  উপজেলায় ১০টি, চারঘাট  উপজেলায় ৭টি এবং বাঘা উপজেলায় ৮ টি রয়েছে।

এদের মধ্যে পবা উপজেলার হজরী পাড়া ইউনিয়নে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স জীবন কুমার সাহা রয়েছে। অথচ তিনি নওহাটা বাজারে দোকান রয়েছে। অরদিকে একই উপজেলায় হড়গ্রাম ইউনিয়নে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স অরবিন্দু সাহা নিমাই। কিন্তু তিনি নওহাটা বাজারে ব্যবসা করেন। তানোর উপজেলায় পৌর এলাকায়  মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্স রয়েছে। অথচ তিনি তালন্দ বাজারে ব্যবসা করেন। মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নে মেসার্স রহমান ট্রেডার্স। অথচ তিনি কেশরহাট এলাকায় ব্যবসা করেন। ঘাসিগ্রামের মেসার্স মোশাররফ ট্রেডার্স। কিন্তু তিনি কেশরহাটে ব্যবসা করেন। বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া বিসিআইসি ডিলার মেসার্স তামান্না ট্রেডার্স। তিনি ব্যবসা করেন ভবানীগঞ্জ। উপজেলার ঝিকরা বিসিআইসি ডিলার মেসার্স ছনি এন্টারপ্রাইজ। তিনি ব্যবসা করেন তাহেরপুর। এবং বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া বিসিআইসি ডিলার মেসার্স সুফিয়া এন্টার প্রাইজ। তিনি ব্যবসা করেন তাহেরপুর। দূর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স লাল মোহাম্মাদ সরকার। তিনি ব্যবসা করেন দূর্গাপুর পৌরসাভা এলাকায়। পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স ইছাহক আলী। তিনি ব্যবসা করেন পুঠিয়া পৌরসাভা এলাকায়। গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স রায়হান ট্রেডার্স। তিনি ব্যবসা করেন গোদাগাড়ী পৌরসাভা এলাকায়। চারঘাট উপজেলার ইউসুপপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স মুন্টি ট্রেডার্স। তিনি ব্যবসা করেন অন্যত্র। বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স লুৎফর রহমান। তিনি ব্যবসা করেন বাঘা পৌরসাভায়। গড়গড়ী ইউনিয়নের ডিলার হয়েও মেসার্স আঃ গনি বাঘা পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করেন এবং বাউশা এলাকার ডিলার মেসার্স আঃ আজিজ, আড়ানীতে ব্যবসা করেন।

কৃষকরা জানান, বিসিআইডি ডিলাররা আমাদের ইউনিয়নে তার গেডাউন বা দোকান না থাকায় আমাদেরকে কষ্ট করে সময় নষ্ট করে উপজেলা সদরে গিয়ে সার, ঔষুধ ক্রয় করে আনতে হয়। এতে আমাদের সময় ও অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

এ ব্যাপারে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, বিসিআইসি ডিলাররা যারা অন্যত্র ব্যবসা করেন তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে গিয়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আগামীকাল রবিবার জেলা প্রশাসক স্যারের সভাপতিত্বে একটি মিটিং রয়েছে সেখানে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আমরা আশা করছি খুব শিগ্রহী তারা তাদের সংশ্লিট এলাকায় গিয়ে ব্যবসা করবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, ডিলারদের যে ইউনিয়নে আমাদের লাইসেন্স দেওয়া আছে তার ঐ ইউনিয়নে তার ব্যবসা থাকার কথা ঐখানে তার গোডাউন থাকার কথা। যদি ঐ ইউনিয়নের বাইরে অন্য কোথাও তার গোডাউন থেকে থাকে তাহলে এটা বেআইনি কাজ। এজন্য যে উপজেলার ডিলার ঐ উপজেলার কৃষি অফিসার এর দ্বায় দায়িত্ব তার উপরে বর্তাবে। কারণ তার তদারকির অভাবে সে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: