ফরিদপুরে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

এহসান রানা, ফরিদপুর | ২১ জুলাই ২০২২, ০৪:২৭

সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলা সচেতন মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।

বুধবার বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বাচ্চু মাতুব্বর, বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিম মাতুব্বর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদের মাতুব্বর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহিদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদ মোল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আঃ কাইয়ুম মিয়া, মোঃ আবুল বাসার প্রমূখ।

বক্তারা মানবন্ধনে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে একটি কুচক্রমহল সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা দেয়। এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলায় আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

তিনি কারাগারে যাওয়ার পর উপজেলার কয়েকজন গ্রাম্য মোড়ল ও জামাত-বিএনপি থেকে আসা কিছু লোক উঠেপড়ে লাগে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তারা একেরপর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে চলেছে। আমরা এ ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী করছি।

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বক্তারা আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে প্রকৃতভাবে যারা হামলা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে পুঁজি করে যারা সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্যার উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়ঝাপ ও দিয়াপাড়া গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলা করে সংঘর্ষকারীরা। এতে উভয় দলের অন্তত ১২জন আহত হয়।

এঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের স্ত্রী জয়গুন বেগম, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ৩৬জনকে আসামী করে সালথা থানায় একটি মামলা করেন। এমামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা দায়ের করা হয়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: