বান্দরবানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা এসব ঘরের স্থায়িত্ব নিয়ে আশংঙ্কা উপকার ভোগীদের। উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এসব ঘর নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিন্মমানের ইট,খোয়া,কম মিলি রট ব্যবহার ও কম উচ্চতায় এসব ঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ছাইগ্যা পাড়া এলাকায় ঠিকাদার ফোরকানের দ্বায়িত্বে প্রধান মন্ত্রীর উপহারের ৫টি ঘর নির্মাণ বরাদ্ধ পায় । সে বরাদ্দকৃত ঘর বর্তমান পর্যায়ের কাজ রয়েছে চলমান। তার মধ্যে ২টি ঘরের চারিদিকে ওয়াল তৈরি হয়ে গেছে শুধু চালাটি বাকী। অনান্য গুলো কাজ শুরু করেছে সবে মাত্র। অর্ধ নির্মিত ঘর গুলো তৈরিতে নিন্মমানের ইট, দুই সুতা বা ছয় মিলি রড ও ইটের খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ ব্যবহারের চিত্র দেখা যায়।
রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকার উপকারভোগী রাশেদা বেগম জানান, প্রধান মন্ত্রীর অনুগ্রহে একটি মাথা গুজার ঠাই পেতে যাচ্ছি। তবে ঘরটি নির্মাণে ২ নাম্বার (নিন্মমানের ) ইট, গ্রেড বীম বাঁধায়ে কম মিলি রড ব্যাবহার। ঢালাইয়ে খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ ব্যবহার করায় ঘরটির স্থায়ীত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
একই এলাকার দানেশ পাড়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপকারভোগী জানান, তার জন্য বরাদ্ধকৃত ঘরটি নির্মাণেও একই অনিয়ম করেছে ফোরকান নামে টিকাদার। অনিয়মের বিষয়টি টিকাদারকে জানালে তিনি সরকারি বরাদ্ধ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান । বরাদ্ধের বাইরে তিনি কিছুই করতে পারবেনা বলে জানিয়েছিলেন উপকার ভোগীদের।
ঠিকাদার ফোরকানের কাছে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , রোয়াংছড়ি উপজেলা কর্মকর্তার অনুরোধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলো নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। রোয়াংছড়ি উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ১০টি ঘর নির্মানের দ্বায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় ইট ভাটায় উন্নত মানের ইটের স্বল্পতার কারনে কিছুটা ইট নিন্মমানের থাকলেও অন্যান্য সামগ্রী গুলো নিয়ম অনুযায়ী রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
তারাছা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উনু মং মারমা জানান, ছাইংগ্যাতে নির্মাণাধীন প্রধান মন্ত্রীর উপহারের ঘর গুলোতে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে দুয়েক জন ফোনে জানিয়েছিলেন।
পরিবার অসুস্থ থাকার কারনে কাজ গুলো পরিদর্শন করতে পারিনি।
এবিষয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) মো, আসাদুজ্জামান বলেন, তৃতীয় পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ঘরের জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি বরাদ্ধ রয়েছে।
উন্নত মানের ইট,ভালো মানের খোয়া, ১০ ও ১২ মিলি রডসহ উন্নত মানের সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ঘর নির্মাণের চুক্তিতে টিকাদার কাজ করছে। যদি নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহার করে থাকে, তাহলে ওই টিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। কর্মস্থলে আসার পরে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: