গলাচিপায় ইসমাইল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী | ১৮ জুলাই ২০২২, ০৬:২০

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা বাজারের মুদি দোকানদার ইসমাইল হাওলাদার হত্যাকারী সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।

রোববার (১৭ জুলাই) সকালে পশ্চিম কাচারিকান্দা গ্রামের মাটিভাঙ্গা বাজার সড়কে এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় নারী পরুষসহ প্রায় ৪ শতাধিক জনতা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসামীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজ খলিফা, সুশীল বেপারী, জাহাঙ্গীর হোসেন, নিহতের মেয়ে নাজমুন নাহার ও নাতনী সূচনা আক্তার। এসময় বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, মুদি দোকানদার ইসমাইল হাওলাদার হত্যার ৩ মাস পেরিয়ে গেছে এখনও সকল আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এছাড়া প্রধান আসমী রফিক মোল্লাসহ ৩ জন গ্রেফতার হলেও দু'জন আসামী মো. বাহাউদ্দীন ও নূর মোহাম্মাদ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও বাদী পক্ষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা। তারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও প্রশাসনের নিকট দাবী জানান দ্রুত সকল আসামী গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করার।

মানববন্ধনে নিহত ইসমাইল হাওলাদারের মেয়ে নাজমুন নাহার তার বাবার হত্যাকারী সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি করেন। তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত সকল আসামীদের গ্রেফতার করেনি। ৪ জন আসামী গ্রেফতার করলেও দু'জন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে গেছে। আমাদের কষ্ট হয় আসামীরা জেল থেকে বের হয়ে প্রকাশ্যে সবার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য, পাওনা টাকা চাওয়ায় গত ১ এপ্রিল ২০২২ রাতে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা বাজারের স্থানীয় মুদি দোকানদার ইসমাইল হাওলাদার কে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত বাহিনী। এসময় রফিক মোল্লার নেতৃত্বে দুর্বৃত্ত বাহিনী দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। নিহত ইসমাইল ওই ইউনিয়নের পশ্চিম কাচারিকান্দা গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত ইসমাইলের পুত্র রাকিব হাওলাদার বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: