পটুয়াখালীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে আহত ২ 

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : | ১৭ জুলাই ২০২২, ১১:৩৩

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনায় তেঁতুলিয়া নদীতে ঢাকাগামী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মাঝে চাপা পরে দুইজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে

শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত সোয়া ৯ টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহতরা হলেন, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের মনসুর মৃধার ছেলে শামীম মৃধা (২৫) ও বাউফল উপজেলার তাঁতেরকাঠি নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আজিজ বেপারীর ছেলে মিজানুর রহমান (৫০)।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ওই লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র টার্মিনালের পুরো অংশ জুড়ে আড়াআড়িভাবে অবৈধ পার্কিং করা ছিলো মেসার্স রাসেল নেভিগেশন কোং এর এমভি প্রিন্স অব রাসেল-১ লঞ্চটি। এ সময় দশমিনা হাজিরহাট লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রী বোঝাই এ.ওহাব নেভিগেশন কোং এর এমভি জাহিদ-৮ ওই টার্মিনালে ভিড়ানোর জায়গা না পেয়ে প্রিন্স অব রাসেল-১ লঞ্চের পাশে আড়াআড়িভাবে ভিড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাত্রী তুলতেছিল। ওই সময়ে প্রিন্স অব রাসেল-১ লঞ্চের উপর দিয়ে ডিঙিয়ে জাহিদ-৮ লঞ্চে উঠতে গিয়ে দুই লঞ্চের ধাক্কায় মাঝখানে পড়ে গুরুতর আহত হন শামীম ও মিজানুর।

খবর পেয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে অতি দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

জাহিদ-৮ লঞ্চের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, আমি মোবাইল ফোন যোগে বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার ও প্রিন্স অব রাসেল-১ এর কর্তৃপক্ষকে ঘাট ছেড়ে আমাদের ভিড়ানোর জায়গা দেওয়ার জন্য বলেছিলাম।  

এ ব্যাপারে জানতে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ এইচএম আলভী আহম্মেদ জানান, আহত শামীমের ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে বের হয়ে গেছে এবং বাম পায়ের নিচের অংশ ছিড়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। মিজানুরের ডান পা এর একাধিক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। আহত ওই দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, বিধি বহির্ভুতভাবে ঘাটে অবস্থান ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রিন্স অব রাসেল-১ লঞ্চকে আটক করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমি ইজারাদার, লঞ্চ মালিক ও প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বসবো ভবিষ্যতে যাতে এরকম দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: