বরগুনার শুভ সন্ধায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর মরদেহ উদ্ধার

তালুকদার মোঃ মাসুদ, বরগুনা | ১৪ জুলাই ২০২২, ২০:৪৪

সংগৃহীত

বরগুনায়  তালতলীর শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে এনএসআই কর্মকর্তাসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা  হয়েছে। ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর তাদের  মরদেহ উদ্ধার  করেছে ফায়ার সার্ভিসের  ডুবুরি দল।

বুধবার  একই পরিবারের ৫ জন সাগরের মোহনায় গোসল করতে নেমে সবাই ডুবে যায়। 

কিছুক্ষণ পর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও নিখোজ থাকে  এনএসআই কর্মকর্তা  মোস্তফা কাদের (৪২) ও  ভায়রার  মেয়ে জুঁই (১৭)। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শুভসন্ধ্যা  এ ঘটনা ঘটে। 

মারা যাওয়া মোস্তফা কাদের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) জুনিয়র ফিল্ড অফিসার হিসেবে বরগুনায় কর্মরত ছিলেন। জীবিত উদ্ধাররা হলো মোস্তফা কাদেরর স্ত্রী সেলিনা সিকদার (৩৫), ছেলে মাহাতির মোহাম্মাদ (৯) ও আবদুল করিম (১৬)। 

এনএসআই বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের বরগুনায় চাকরি করার সুবাদে ঢাকা থেকে স্ত্রী, দুই ছেলে, তার স্ত্রীর বোনের মেয়ে জুঁইকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে বরগুনায় আসেন। বুধবার সকালে তারা পরিবারের সবাই শুভসন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসে সবাই মিলে সমুদ্রে গোসল নামেন।

গোসলে নেমে ঢেউয়ে  চাপে মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্রের মাঝে চলে যায় সবাই। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধারের জন্য সাগরের মোহনায় নেমে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী ও ২ ছেলেকে উদ্ধার করেন। 

পানিতে ডুবে নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশ এলাকার শত শত জেলেসহ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের কয়েকটি টিম উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। পরে বিকেল ৫টার সময় সাগরের মোহনা থেকে এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের ও স্ত্রীর বোনের মেয়ে জুঁইয়ের মরদেহ  উদ্ধার করে জেলেরা। নিহতের বাড়ী রাজশাহী জেলায়। 

আকস্মিক সাগরের উত্তাল জলরাশির ঢেউ তাদের ওপর আঁছড়ে পরার সাথে সাথে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে ডুবে যান। গোসলে নামা এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদেরের পরিবারের কেউ সাঁতার জানতেন না। তাদের ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অন্য পর্যটকরা উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। 

তালতলী ফায়ার সর্ভিসের স্টেশন অফিসার আহসান হাবিব জানান, গোসল করতে নেমে নিখোঁজদের মধ্যে স্ত্রী সেলিনা সিকদার (৩৫), ছেলে মাহাতির মোহাম্মাদ ও আবদুল করিমকে স্থানীয়রা জীবিত উদ্ধার করেছে। ৫ ঘণ্টা পর এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের ও ভায়রার  মেয়ে জুঁইকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। 

তালতলী থানার  ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, লাশ উদ্ধার করে বরগুনা পাঠানো হয়েছে। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: