চতুর্থ দিনে বান্দরবানে পর্যটকের ঢল

আকাশ মারমা, মংসিং, বান্দরবান | ১৪ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৭

সংগৃহীত

ঈদের গত তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনের পাহাড় কণ্যা বান্দরবানে পর্যটকের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতন। প্রত্যেক বিনোদন কেন্দ্রে আজ সকাল হতে পর্যটক ছিল আশানুরূপ। ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা এক পলক দেখতে বান্দরবানে ছুটে এসেছে চতুর্থ দিনেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিলাচল সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গেল ঈদের তিন দিন চেয়ে আজ চতুর্থ দিনের পর্যটকের ঢল ছিল চোখের পড়ার মতন। সকাল থেকে পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন পছন্দের পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে। যেখানে পর্যটক বেশী সেখানে চাঁদের গাড়ি কিন্তু কম নয়। পর্যটকদের নিয়ে চাঁদের গাড়ি উড়াল দিচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। মেঘলা, নিলাচল, শৈলপ্রপাত, দেবতাকুমসহ নীলগিরিতে গত তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনে পর্যটক ছিল অনেকগুন।

অন্যদিকে ঈদের গত তিনদিনের পর্যটকদের আগমন ছিল আশানুরূপ। চতুর্থ দিনের মাথায় পর্যটকরা হোটেল - মোটেল গুলোতে উঠেছে ৫০- ৬০ শতাংশ মতন। যেটি তিনদিনের চেয়ে আজকের দ্বিগুন পর্যটক হয়েছে বলে জানান হোটেল কর্তৃপক্ষরা।

এদিকে বান্দরবান জীপ ও মাইক্রোবাসে মালিক সমিতি টিকেট কাউন্টার দেওয়া তথ্য মতে, ঈদের তিনদিন চেয়ে আজ পর্যটকের আগমন ছিল বেশী। সারাদিনে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিয়ে চাঁন্দের গাড়ি ছেড়েছে ২শত ৫০ টি। এর আগের
দিন ছিল ৮০টি, ২য় দিন ছিল ৬৪ ও ঈদের প্রথম দিন ছিল ৯০টি।

অন্যদিকে মেঘের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও আনন্দের মাতোয়ারা কাছে যেন হার মেনেছে। একদিকে গুড়ি বৃষ্টি অন্যদিকে আপনজন কিংবা আত্বীয়দের নিয়ে ছবি তোলা। এ যেন বলা যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা থাকলেও পাহাড়ের প্রাকৃতিক মাঝে হারিয়ে যেতে চান পর্যটকরা। এই আনন্দে ভাসতে দুর-দুরান্ত থেকে পাড়ি দিয়ে এসেছেন প্রাকৃতিক লীলাভূমি বান্দরবানে।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আসমাউল হোসেন দিপু জানান, ঈদের তিন দিনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। বান্দরবান প্রথম আসা তার। ৭ জন বন্ধু নিয়ে শহরের মেঘলা, শৈলপ্রপাত ঘুরে নীলাচল এসেছেন। প্রকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুশীতে আত্মহারা তারা।

টাঙ্গাইল থেকে আসা শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বলেন, বিশ্ববিদ্যাল্য কয়েক দিন বন্ধ রয়েছে। এর ফাঁকে বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে বান্দরবান ঘুরতে এসেছি। প্রাকৃতিক আর পাহাড় দেখে মুগ্ধ আমি।

রোয়াংছড়ি পর্যটক গাইডের সভাপতি পলাশ জানান, ঈদের দুইদিনে রোয়াংছড়ি উপজেলার অবস্থিত দেবতাকুম কেন্দ্রে পর্যটকের আগমন ঘটেছে প্রায় দ্বিগুন। তবে দুইদিন তুলনায় আজকের দেবতাকুমের কেন্দ্রে পর্যটকের আগমন ঘটেছে ৪শত উপরে।

নিলাচল ও মেঘলা কেন্দ্রে টিকেট কাউন্টার আদীব বড়ুয়া ও সুকুমার তংচগ্যা জানান, গত তিন দিনের তুলনায় আজ চতুর্থ দিনে পর্যটক এসেছে দ্বিগুন। যা সকাল থেকে এ পর্যন্ত নিলাচলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫শত। মেঘলায় টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ও বেশী। যা তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনেও বেশি পরিমানে টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, গত তিনদিনের তুলনায় আজকের পর্যটকদের বেশী দেখা গেছে। পর্যটকদের যাতে কোন আপত্তিকর দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: