স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গাণিতিক ও বিশ্লেষণমূলক সক্ষমতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার খাড়েরা মোহাম্মাদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সামাজিক সংগঠন 'খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্র-যুব সংগঠন' ও 'পাবলিকান্স অফ খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়'র যৌথ আয়োজনে গণিত উৎসব ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ১০ টায় খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণিত উৎসব(ম্যাথ অলিম্পিয়াড)'র পরীক্ষা ও বিজয়ীদেরকে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হাই ভূইঁয়া'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মোঃ সেলিম মাস্টার।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোঃ হামজা মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বানিজ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রাকিব উদ্দিন ভূইঁয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজ্বী আবু বক্কর ও স্কুলের শিক্ষক এবং অভিভাবক প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা গণিতে আগ্রহী ও পারদর্শী তাদেরকে এধরনের পোগ্রামের মাধ্যমে ভালোভাবে গড়ে তোলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্র-যুব সংগঠন এর সভাপতি মোঃ মোমেনুল হক মুন্না বলেন, আমরা একযুগ ধরে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও সার্বিক কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছরই আমাদের স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় গণিত উৎসব করে থাকি। এবার করোনার কারণে ২বছর পর পোগ্রামটি সফল করতে পেরেছি। আজকে আমাদের অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্র-যুব সংগঠন ও পাবলিকান্স অফ খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পাবলিকান্স অফ খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে গণিত উৎসব ২০২২ পরীক্ষার সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ বলেন, অনেকের কাছে গণিত যদিও ভয়ের বিষয়; কিন্তু গণিতের বিকল্প কিছু নেই। যারা গণিতে আগ্রহী না, তাদের গণিতভীতি দূর করতেই এই গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন।
উক্ত গণিত উৎসবে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিটি শ্রেনীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অজর্নকারী মোট ১৫ জনকে পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে একটি করে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: