চাঁন্দের গাড়ির অপেক্ষায় পর্যটক, গাড়ি পেলে ছুটছেন পর্যটন স্পটে

বান্দরবান প্রতিনিধি | ১৩ জুলাই ২০২২, ০২:৫৯

সংগৃহীত

ঈদের তৃতীয় দিনেও বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন তেমন কমেনি। তবে আজ সকাল থেকে বান্দরবানে মাইক্রো ও জীপ ষ্টেশনের পর্যটকদের গাড়ির অপেক্ষায় ভিড় করতে দেখা গেছে। যে যার মতন নিজ পছন্দের পর্যটনকেন্দ্রে যেতে ভীড় করছেন পর্যটকরা। 

অন্যদিকে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে চাঁন্দের গাড়িও। চাঁন্দের গাড়ির চালকরাও সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিয়ে ছেড়ে গেছে। তবে গতবারের চেয়ে এবারের পর্যটকদের আগমন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান মাইক্রো জীপ সমিতির সংশ্লিষ্টরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল তুলনায় চেয়ে আজকের ষ্টেশনের পর্যটকরা কম দেখা দিলেও তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত জীপ ও মাইক্রো মালিক সমিতিরা। কেউ ভাড়া করে ১৩ কিংবা ১৭ জন নিয়েছে ছেড়ে গেছে দেবতাকুমে। কেউ আবার অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। তবে নিজেদের পর্যটন কেন্দ্রে পৌছাতে গাড়ি নিয়ে চলছে দৌড় ঝাপ।

বান্দরবানের রয়েছে - মেঘলা, নিলাচল, প্রান্তিলেক, দেবতাখুম, বগালেক, শৈলপ্রপাত সহ নানান পর্যটন কেন্দ্র। সেসব পর্যটন কেন্দ্রে প্রকৃতি প্রেমিকরা যাচ্ছেন মনের খোরাক জোগাতে।

চাঁন্দের গাড়ি চালক সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, সকাল থেকে পর্যটকরা বিভিন্ন স্থানে যেতে ভীড় করেছে। কেউ যাবে দেবতাকুমে, কেউ যাবে বগালেক আবার কেউ যাবে বান্দরবান শহরের ভিতরের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তবে তাদেরকে সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

বান্দরবান জীপ ও মাইক্রোবাস টিকেট কাউন্টারের দেওয়া তথ্য মতে, গতকাল সারাদিন ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন পর্যটনের উদ্দেশ্য গাড়ি ছেড়েছে ৬০টি। তবে আজ সকাল থেকে দুর- দুরান্তে কয়েকটা গাড়ি ছেড়েছে। আশা করছেন গতকালের চেয়ে আজকের গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পরিমাণ আশানুরুপ হয়েছে তাদের। 

ঢাকা থেকে ১০ জনের টিম পর্যটক অঙ্কন ও সোহাগ জানিয়েছেন, গতকাল আশে পাশে ঘুরে শেষ করেছি। আজ দেবতাখুুমের উদ্দেশ্যে আমরা বের হয়েছি। তবে গাড়ি সংকট নাই। 

যশোর থেকে আসা দম্পতি সালমা ও ফেরদৌস জানিয়েছেন, গতকাল নীলাচল ও মেঘলায় ঘুরেছি মাহেন্দ্রা ভাড়া করে। আজকে অন্যটিমে যোগ দিয়ে নীলগিরির দিকে যাবো।  

বান্দরবান জীপ ও মালিক সমিতি টিকেট কাউন্টার জামাল জানান, পর্যটকদের জন্য যথেষ্ট পরিমান চাঁন্দের গাড়ি মজুত রয়েছে। তাদের সেবা দিতে জীপ ও মাইক্রো মালিক সমিতি সদস্যদের (চালকদের) পর্যটকদের সেবা দিতে বলা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: