বরগুনার গোড়াপদ্মা পর্যটন সৌন্দর্যের লীলাভূমি

বরগুনা প্রতিনিধি | ১২ জুলাই ২০২২, ০৭:১২

সংগৃহীত

দেখাশুনা ঘোরাঘুরি সবারই পছন্দ। ঈদ এলেই মনেপরে সেই কথা।  প্রাকৃতিক সৌন্দার্য  নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা না করে ঈদ ভাবতে পারছেন  না অনেকেই ।  যদি সবুজ ঘেরা বন ভুমি, নদী কিংবা স্নিগ্ধ বালুময় বঙ্গোপসাগরের  তীর উপভোগ  করা  না যায় তাহলে যেন তৃপ্তি নেই। তাই তেমনি  স্থান  তালতলীর শুভসন্ধ্যায়, বরগুনা সদরের গোড়া পদ্মা কুমিরমারা ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যায়। পর্যটকরা সাধারণত নৌ বা স্থলপথেই এখানে আসা যায়। পিকনিক স্পটে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের পাশাপাশি রান্নার সুব্যবস্থা থাকায় পর্যটকদের তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্ট এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে রয়েছে ছোট ছোট চায়ের দোকান, জেলা পরিষদের ডাক বাংলো। 

সাগরের কোলঘেসে ওঠা ভিরাম একটি সমুদ্রসৈকত 'শুভসন্ধ্যা,গোড়াপদ্মা '। যার একদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইকো পার্ক । অপরদিকে সীমাহীন বন ও বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রধান তিনটি নদী- পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর জলমোহনার সাগরে মিশে যাওয়ার স্নিগ্ধ বেলাভূমির বালুচর এই শুভসন্ধ্যা ও গোড়াপদ্মা চর। 

একটি সৈকত তালতলী উপজেলার নিশানবারিয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত। অন্য টি বরগুনা সদর উপজেলার  নলটোনা ইউনিয়ন অবস্থিত ১৪ কিলোমিটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি এ চরের বনাঞ্চল। ২০০৬ সালে ৫৫ হেক্টর জমিতে এখানে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল গড়ে তোলে বন বিভাগ। ঝাউ গাছ, আকাশমনি, অর্জুন,  বাবলা, কড়াই ও বাদাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। 

বিস্তীর্ণ লিলা ভূমি এই বনাঞ্চলের সাগরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে  সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। এখানে গোধূলি সন্ধ্যাগুলো মনোরম প্রাকৃতিক রূপে সাজে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষেরাই পেশায় জেলে। শীত এলে এখানে হাজার হাজার জেলের সমাগম ঘটে। সকাল-সন্ধ্যা তারা শুঁটকি শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। বর্ষাকালে এখানে উন্মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা সারিসারি ঝাউ গাছের মাথার উপর ওঠা রঙধনু  উকিঝুকি দেয়। 

ঢাকা থেকে  পদ্মা সেতু হয়ে বাসে লাগবে মাত্র ৬ ঘন্টা। বরগুনা পৌঁছেই হোটেল নেয়ার দরকার নেই। সরাসরি  তালতলী অথবা নলটোনা  । সেখানে আবাসিক হোটেল, ডাক বাংলো, এনজিও রেস্ট হাউস রয়েছে। থাকতে পারবেন স্বল্প খরচে। 

তাই যেকোনো একটিতে রুম নিয়ে ফ্রেশ হন। হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করুন। স্থানীয় নদী ও সাগরের তাজা মাছ খেতে ভুলবেন না। একটু  ভ্যান, রিকশা বা মোটরসাইকেলে সোজা চলে আসেন ঘোড়াগুরির কাজে । এরপর আর যানবাহনের দরকার হবে নই, তবে গোড়াপদ্মা, কুমিব মারা, সোনাকাটা ইকো পার্ক,লালদিয়া, হরিনঘাটা  এবং তুয়াকাটা ও সুন্দরবন  কাছাকাছি। 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: