বন্যা কবলিত প্রায় ২' হাজার পরিবার পেল গণস্বাস্থ্যের ত্রাণ

আখলাক, গবি প্রতিনিধি | ৩০ জুন ২০২২, ১৯:৪৫

সংগৃহীত

বন্যার পানির উচ্চতা যেমন আরেকদফায় বেড়েছে, ঠিক তেমনি পানিবাহিত রোগ ও বেড়ে চলেছে বন্যা কবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জে।

মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আত্মমানবতার সেবায় উৎসর্গকারী প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য সেই ধারাবাহিকতায় পৌছো গেলো সুনামগঞ্জে। 

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তের মাঝে গণস্বাস্থ্যের ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কার্যক্রমের ১২তম দিনে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবারকে  ত্রাণ দিয়েছে অন্যতম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। 

মঙ্গলবার, (২৯ শে জুন) সকাল থেকে রাস্তার উপরে শুকনো স্থানে বন্যার্ত পরিবারগুলোর মাঝে

শুকনা খাবারঃ চিড়া, গুড়, টোস্ট, বাচ্চাদের বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, চাল, তেল, ডাল এবং কয়েকশত পরিবারের গো-খাদ্যঃ কুড়া-ভূষি বিতরণ করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকগণ এবং এলাকার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মেডিক্যাল টিম সর্বদা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে তৎপর ছিলো। সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক ডা. কে. এম. হালিমুর রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের দলনেতা মোঃ আবুল হাসান (গণ শিল্পালয় কর্মকর্তা), গবিসাস প্রতিনিধি ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকগণ। 

মোঃ আবুল হোসেন জানান, আমরা গণস্বাস্থ্যের আওতাধীন এ মহতী কাজে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করে চলছি। আজকে প্রায় দু হাজার পরিবারের মাঝে ৪ কেজি করে চিড়া, এককেজি  গুঁড়াদুধ  এবং বাকি খাদ্যসামগ্রী প্রায় এক মাস চলবে বলে ধারণা। 

ত্রাণ নিতে আসা কালাম বৈরাগী বলেন, "আজ পর্যন্ত এত দূরে আমাদের এখানে সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। প্রায় একমাসের খাদ্য, গো-খাদ্য এবং ঔষধ পেয়েছেন বলে জানা তিনি। গণস্বাস্থ্যই প্রথম সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে। ঘর ভেঙে যাওয়ার আমাদের এলাকার জনগণরা মসজিদে, গণস্বাস্থ্য কমিউনিটি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। এজন্য গণস্বাস্থ্যের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।" 

উল্লেখ্য,  সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের মাঝে কয়েকশত টন খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় ১৭ জুন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের কয়েকশত  পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। এছাড়াও পাগলা বাজার, শান্তিগঞ্জ  গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ১০টি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ১ হাজার জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া বন্যা পরবর্তীতে কৃষি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগীতার হাত বাড়াবে গণস্বাস্থ্য।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: