সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে আবারও নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ৬ নদ-নদীর ৭ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথমতে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পারি অমলশীদ পয়েন্টে ১১৪ এবং শ্যাওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরনো সুরমার পানি দিরাইয়ে ১২ সেন্টিমিটার, বাউলাইয়ের পানি খালিয়াজুরীতে ১ সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরীর পানি কমলাকান্দায় ২২ সেন্টিমিটার এবং তিতাসের পানি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে, করতোয়া নদের পঞ্চগড় পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে বা কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। ফলে আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গঙ্গা-পদ্মা ও কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী দুই দিনে বাংলাদেশ উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর কাছাকাছি ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের ( জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে মূলত ওই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদী তিস্তা, আপার আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, টাঙন, পূর্নভবা ও কুলিখ নদ- নদীর পানি দ্রুতত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: