ফেরির অপেক্ষায় হাজারো মোটরসাইকেল

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা | ২৮ জুন ২০২২, ০৪:০৮

জাজিরা প্রান্তে মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় ফেরির অপেক্ষায় বাইকাররা। ছবি: সংগৃহীত

খোলার প্রথম দিনে শত শত মোটরসাইকেলের ভিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও সোমবার সকাল থেকেই সেতুর ২ প্রান্তের টোলপ্লাজায় এই দ্বিচক্রযান নিয়ে হাজির হন হাজার হাজার আরোহী। এ সময় ২ প্রান্তেই ট্রাফিক পুলিশ ও টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ তাদের আটকে দেয়।

পরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি ফেরিতে করে শতাধিক মোটরসাইকেল পার হতে পারলেও দুপুর বিকেল পর্যন্ত জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় আরও শতাধিক মোটরসাইকেল আটকে আছে। 

মাওয়া প্রান্তের পুলিশ ও টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর ৬টা থেকেই মোটরসাইকেল আরোহীরা এই প্রান্তের টোল প্লাজার আসতে শুরু করেন। জোর করে সেতুতে ওঠার চেষ্টা করেন তারা। বাধা পেয়ে সকাল ৯টার দিকে বাইকাররা টোল প্লাজার সামনে অন্যান্য যানবাহন চলাচল আটকে দেন। এ সময় প্রায় আধঘণ্টার জন্য টোল প্লাজার ৪টি লেন দিয়ে অন্য কোনো যান পার হতে পারেনি। এক পর্যায়ে ফেরি চালু হওয়ার খবর পেয়ে মোটরসাইকেল চালকরা শিমুলিয়া ঘাটের দিকে চলে যান।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সোহেল হাসান বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের অনুরোধ করার পর অনেকে চলে যান। আবার কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা  করেন। তখন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

মোটরসাইকেল চালকরা যাতে সেতুতে না ওঠেন, তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে জানিয়ে সোহেল আরও বলেন, ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ৫ শতাধিক মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সকাল ১০টা থেকে টোল প্লাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি।

মোটরসাইকেল সরে যাওয়ার পর আজ সকাল ১০টা থেকে মাওয়া প্রান্তে সেতুর টোল প্লাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, সকাল সোয়া ১০ টার দিকে কুঞ্জলতা ফেরি ১১৯ টি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

তিনি বলেন, 'একসঙ্গে দেড় শ-দুই শ মোটরসাইকেল ঘাটে জমা না হলে পরবর্তী ফেরি চলবে না।'



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: