পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠান: বৃষ্টি হলেও কমেনি লাখো জনতার ভিড়

শফিক স্বপন, মাদারীপুর প্রতিনিধি | ২৫ জুন ২০২২, ২৩:১৫

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল নিয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ সভায় যোগ দিয়েছন হাজার হাজার মানুষ-ছবি: সময় ট্রিবিউন

আর মাত্র কিছুক্ষণ পর পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট। পদ্মা সেতুর আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভা মঞ্চ। সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাবেশ সফল করতে শনিবার সকাল ১০ টায় সামান্য বৃষ্টিতে ছন্দ পতন হলেও লাখো মানুষ সভাস্থলে ভিড় জমিয়েছে। অপরদিকে পদ্মা নদীতে বর্ণিল নৌকা ভাসতে, ভাসছে বিলাস বহুল লঞ্চে আগত দর্শনার্থীদের পদচারনা। যদিও ভোর থেকেই জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরমানুষ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল নিয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ সভায় যোগ দিয়েছন হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ৫টার দিকে প্রায় হাজারখানেক মানুষের জটলা দেখা যায় সেখানে। সবার মুখে মুখে স্লোগান, পুরো এলাকাজুড়ে উৎসব উৎসব রব। সকাল ৬টার পর খুলে দেয়া হয় জনসভার জমায়েতের স্থান। দীর্ঘ লাইনে সবাইকে চেক করে ঢুকতে দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের। পদ্মা সেতুর কাঁঠালবাড়ী সংযোগ সড়ক থেকে হেঁটে এসেছেন তারা। কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী বাংলাবাজার ঘাট নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, র‍্যাবসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পুরো ৮ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আনা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়। এ ছাড়া বসানো হয়েছে ২৬টি বড় পর্দার মনিটর।

মাদারীপুরের কালকিনি থেকে আসা আদর খান জানান, রাত ১২ গাড়িতে  উঠেছি। সারা রাত নাচ-গান করে সকালে ঘাটে নামছি। এটা ঈদের আনন্দের চেয়ে কোনো অংশেই কম না, বরং আমাদের মুক্তির দিন আজ। অনেক কষ্ট আর ভোগান্তি থেকে বাঁচার দিন। যে কারণে আমাদের ফুর্তি কোনো অংশেই কম নয়।

বরিশাল থেকে লঞ্চে আসা সৈয়দ বশির জানান, আমাদের বরিশার থেকে প্রায় প্রায় এক লাখ মানুষ সভায় আসব।’

মাদারীপুর শহরের বটতলা থেকে আঃ রব বেপারী এসেছেন। তিনি জানান, ‘সকালে আলো ফোটার আগেই চলে আসছি। প্রায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার হেঁটে আসতে হয়েছে। এখন মাঠে আসছি, এতেই খুশি আমরা।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, মূল মঞ্চের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্তত ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুলিশের অন্তত ১৫ হাজার কর্মী সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়ার র‍্যাবের ২ হাজারসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ হাজার প্রশাসনের কর্মী মাঠে রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: