ফরিদপুরের সালথায় সংঘর্ষে আহত ১০: ২০টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট

ফরিদপুর ব্যুরো | ২৫ জুন ২০২২, ০৮:৪৭

সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথার গট্টিতে গ্রাম্য দুগ্রুপের কয়েক দফা সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত দোকানঘর ও বসতঘর ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মীরের গট্টি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে অন্তত ২টি দোকানঘর ও ২০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাররা জানান , সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থক গ্রাম্য মাতুব্বর চাঁন মিয়া ও তুরাপ মাতুব্বরের সাথে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইব্রাহিম খাঁনের সমর্থক আবু মাতুব্বরের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে চাঁন মিয়া ও তুরাপ মাতুব্বরের ভাই আবু মাতুব্বর বসতঘর উঠাতে গেলে বাধা দেয় তুরাপ মাতুব্বর। এই নিয়ে তুরাপ ও আবু মাতুব্বর মধ্যে কথা-কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে একপর্যায়ে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটে।  

সেই সূত্র ধরে, শুক্রবার চাঁন মিয়া ও তোরাপ মাতুব্বর ইব্রাহিমের বাড়িতে ও তার সমর্থকদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ২টি দোকানঘর , ২০টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার , ২ টি গরু এবং পেয়াজ বিক্রিত ঘরে রাখা নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।    

খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ইব্রাহিম খান জানান , সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থক মাতুব্বর চাঁন মিয়া ও তুরাপ মাতুব্বর আমার ও আমাদের পরিবার এবং আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় ও লুটপাট করে বাড়িঘর তচনচ করে । তিনি আরো জানান , আমি প্রকৃত আঃলীগ করি , আমি কেন ওয়াদুদ মাতুব্বরের সাথে দল করি না এটাই আমার অপরাধ । আমি দল করি খন্দকার রেজাউর রহমান চয়নের সাথে । 

এই বিষয়ে সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর জানান , এই সংঘর্ষের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই । যারা এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা আপন দুই ভাই দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেন । 

ফরিদপুরের সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাদিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।   

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: