পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শাহাদত-আফরোজা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট পরিচালিত হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় অ্যাম্বুলেন্স, মেডিকেল সেন্টার ও গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মাদরাসা ও এতিমখানার সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুপুরে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সাজিন কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্ত, অ্যাম্বুলেন্স, মেডিকেল সেন্টার ও গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ অনেকের আছে। তবে সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে কয়জন মানবসেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, নানাভাবে সেবা দিলে সমাজের কোন মানুষ বিপথে যাবেন না। এ ধরনের সুন্দর ও জনকল্যাণমুখী বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহনের উদাত্ত আহবান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন সহ যে কোন ধরনের অসামাজিক বা সমাজ বিরোধী ধ্বংত্মাক কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নির্মূলে সচেতন হতে হবে। সন্তানদের স্কুলমুখী করে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যাপক ও ট্রাস্টের সদস্য খন্দকার সিরাজুল ইসলাম মুরাদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা বিশেষ অতিথির সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিমুল আক্তার, স্বাচিপের পাবনা জেলা সম্পাদক ডা. জাহেদী হাসান রুমী, সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জিল্লুর রহমান, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি, উলাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান প্রমুখ।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন বলেন, মানব কল্যাণে শাহাদত-আফরোজা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিমখানা ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ট্রাস্টের অনুকূলে ৭ কোটি টাকার এফডিআর করা আছে। এফডিআর'র লভ্যাংশের টাকায় এটি পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ আশপাশের মানুষের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে মেডিকেল সেন্টার চালু করা হলো। প্রতিমাসে এই সেন্টারে ১ লাখ টাকার ঔষধ বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও একটি অ্যাম্বুলেম্স সেবা পাবে এ এলাকার মানুষ। বিনা পয়সায় এ সেবা উপজেলার মধ্যে প্রদান করা হবে। শাহাদত হোসেন বলেন, আমার এই এতিমখানা ও মাদরাসায় ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের তিনবেলা খাওয়াসহ থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম আরও বৃহৎ পরিসরে ৫০০ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাসহ আবাসিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি এই ট্রাস্টের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কথা জানালেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: