অন্তরালের আড়ালে যমুনা সিটি পার্কের অসামাজিকতা

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি | ১৯ জুন ২০২২, ০৭:৩৩

সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের বহু বিতর্কীত বিনোদন কেন্দ্র যমুনা সিটি পার্কে বিনোদনের নামে চলছে উঠতি বয়সি কপোত-কপোতিদের অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড চলার কারণে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে তা চরম আকার ধারণ করবে। ২০১৩ সালে এই পার্কটি তার অগ্রযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ ও অনৈতিক কাজে আজ অনেকটাই আলোচিত। 

জানা গেছে, পার্কটি শিশু ও কিশোরদের মননশীল বিকাশে কাজ ও ভ্রমণপিপাসু অতিথিদের জন্য বিনোদনের উদ্দেশ্যে কাজ করবে। তবে এসবের অন্তরালে পার্কের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে অসামাজিক ও অনৈতিক কাজ করার সুব্যবস্থা। 

 যমুনা সিটি পার্ক কর্তৃপক্ষ অধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ভিন্ন কৌশলে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতি (কপোত-কপোতি) প্রবেশ করাচ্ছে। আর এই যুবক-যুবতীরা পার্কের ভিতরে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকালাপে লিপ্ত হচ্ছে। পার্কের ভিতরের পূর্বপার্শ্বে ঝাউ ও ফুলগাছের অন্তরালে এবং পশ্চিম পাশে জঙ্গল বাড়ি নাম ফলকের পাশে কয়েকটি বসার জায়গা তৈরী করা রয়েছে। সেখানে কপোত-কপোতিরা নিরাপদে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে নানান গল্পের ছলে তারা অসামাজিক কাজ করেই চলছে।এসব অসামাজিক কাজে এলাকার অনেক দর্শনার্থীদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। 

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, দুর-দুরান্ত হতে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং উঠতি বয়সি যুবক-যুবতীরা ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এরপর নিরাপদ স্থান পূর্বপার্শ্বে চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা ঝাউ গাছের নীচে বেঞ্চে বসে অনৈতিক কাজ করছে। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কার্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেন,পার্কের সাথেই মুসলমানদের জন্য একটি মসজিদ রয়েছে, অনেক সময় এমন উচ্চস্বরে গান বাজনা করা যার ফলে আমাদের নামাজের অনেক ক্ষতি হয়।যার ফলে তারা চরম বিপদে রয়েছে। যমুনা সিটি পার্কের ভিতরে ও বাইরে বিনোদনের নামে যে বেহায়াপনা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের এলাকা রশাতলে চলে যাচ্ছে। তারা পার্কের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর রকিবুল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি অতিদ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: