উজানের পাহাড়ি ঢাল ও টানা প্রবল ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় আবারও বন্যার পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। জেলার তিস্তা ধরলা নদীসহ ছোট বড় সবকটি নদী পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও ঘনঘন বৃষ্টিপাতের কারনে ও ওজানী ঢলে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার ৫ হাজার মানুষ।
তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকার বসবাস কারি মানুষগুলো বন্যার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, গতবছর তিস্তার বন্যায় কষ্টে আবাদ করা ফসলসহ ঘর-বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। এখনও ভালোভাবে থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করতে পারিনি। এখন আবারও যদি বন্যা শুরু হয় নিঃস্ব হয়ে যাবো আমি!
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাক-উদ-দৌল্লা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত ও ওজানি ঢল চলতে থাকলে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে সর্তক করার পাশাপাশি সবধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: