শেরপুরের লছমনপুরে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, ৮নং লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর গ্রামের ফজলুল হক ওরফে (ফজলু মেম্বার) এর ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া (৪২) একই গ্রামের এক কিশোরী কে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক রাত ১২ সময় মো. ফিরোজ মিয়া তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ভিকটিমের এর ঘরে গোপনে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে এবং এক পর্যায়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের লাইট নিভিয়ে দিয়ে ভিকটিমকে জোর পূর্বক গেঞ্জি দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা করে এবং ভিকটিমকে অপহরণের উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ভিকটিমের ডাক-চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্ত ফিরোজ ভিকটিমকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়েঁ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম এর বড় ভাই নিজে বাদী হয়ে আদালতে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই অভিযুক্ত ফিরোজ আমার বোন'কে হীন উদ্দেশ্যে ভোগ করার জন্য বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমার বোন বিষয় টা আমাদের জানালে আমরা অভিযুক্ত ফিরোজের বাবা-মাকে বলি কিন্তু এতে করে ফিরোজ আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভাবে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে এবং সুযোগের অপেক্ষায় থেকে গত ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে এমন ঘটনা ঘটান।
তিনি আরো বলেন,এই বিষয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান কে জানালে তাদের কাছ থেকে কোন সুরাহা না পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শেরপুর আদালতে মোঃ নং ১৯১/২০২২ একটি অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করি যাহা পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে শেরপুর সদর থানায় ১৩/০৬/২০২২ ইং তারিখে মামলা নং-৩৪, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং সোঃ/০৩) এর ৭/৯ (৪) (খ) এর দ্বারা মোতাবেক (এফ.আই.আর) ভুক্তি হয়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত মো.ফিরোজ মিয়া একজন গুন্ডা,নারী লোভী ও ধর্ষণকারী প্রকৃতির লোক,বর্তমানে তার একটি স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়াও সে প্রতিনিয়ত এলাকার অসহায় মেয়েদের নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো.বন্দে আলী বলেন, আমরা মামলা রেকর্ড ভুক্ত করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: