চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতন-জরিমানা, মায়ের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আটক ১০

পিরোজপুর প্রতিনিধি | ৯ জুন ২০২২, ০০:৫৬

সংগৃহীত

পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের বিরুদ্ধে দোকান চুরির অভিযোগ। তাই সালিশ ডেকে ওই শিশুসহ দুইজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন সালিশদাররা। এলাকাবাসী মিলে ওই শিশুর উপর চালায় পাশবিক নির্যাতনও। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ ১০ জনকে আটক করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট বন্দর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে শিশু সাঈফের মা বকুল বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুর নাম সাঈফ (১০)। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাড়েরহাট ইউনিয়নের ১ নম্বর হোগলাবুনিয়া ওয়ার্ডের সদস্য আবুল বাশারও।

বকুল বেগম বলেন, ‘রবিবার একটি দোকানে চুরির ঘটনায় আমার ১০ বছরের শিশুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে সোমবার সালিশি বৈঠক ডেকে নির্যাতন করে সালিশদাররা। এরপর আমার ছেলেসহ দুইজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা না থাকায় কানের দুল বন্ধক রেখে আমি জরিমানার ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করি। আমার ছেলেকে অতিরিক্ত নির্যাতন করায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি।’

ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, ‘আমার এলাকার আসামিদের সাথে আমি থানায় দেখা করতে গেলে থানার ওসি আমাকেও লকাপে ঢুকায় এবং খারাপ ব্যবহার করে।’

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের আটক করা হয়েছে।

ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুৎফুন্নেছা খানম বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত চলছে। ইউপি সদস্য দোষী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: