কচুয়ায় কেঁচো সার তৈরি করে ভাগ্যবদল কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর 

চাঁদপুর প্রতিনিধি | ৩ জুন ২০২২, ০৫:০৫

সংগৃহীত

 চাঁদপুরের কচুয়ায় কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোষ্ট) তৈরি করে ভাগ্যবদল হয়েছে কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর। জমিতে ব্যবহার করে এলাকার কৃষক বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া রাসায়ানিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুনাগুন ঠিক রাখতে কৃষকরা তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যাপকভাবে ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছেন। 

নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভা গ্রামে স্থাপিত প্রদর্শনীর প্রথমে ৬টি রিং এর মাধ্যমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন তিনি।

জানা যায়, কচুয়া পৌরসভা গ্রামের কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী ২০১৯ সালে কৃষি অফিসের পরামর্শে তার আবাদ করা জমিতে ব্যবহারের জন্য সীমিত পরিসরে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোষ্ট) তৈরির উদ্যোগ নেন। উৎপাদিত কেঁচো সার শহীদুল্লাহ মুন্সী নিজ জমিতে ব্যবহার করে ফসলের ব্যাপক ফলন পাওয়ায় আশপাশের কৃষকরা উদ্ধুদ্ধ হন। তখন থেকে এ সারের চাহিদা বাড়তে থাকায় ভার্মি কম্পোষ্ট নামে একটি খামার তৈরি করেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি অফিসের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে আগ্রহী হয়ে পরবর্তীতে নিজে আরো বড় পরিসরে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। ইতিমধ্যে বছরে ৩০ টন সার বিক্রি করার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছেন। কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর মাধ্যমে আশেপাশের সকল কৃষক এখন জৈব সার উৎপাদন করতে আগ্রহী। 

কৃষক শহীদুল্লাহ্ মুন্সী জানান, কৃষকেরা জমির গুনাগুন ঠিক রেখে অল্প খরচে নিরাপদ সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে পারে। এ লক্ষে তিনি ভার্মি কম্পোষ্ট খামার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ সহয়তা পেয়ে আমি শুরু করি। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর ভার্মি কম্পোষ্ট খামারে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও মাটির সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কেঁচো সারের জুড়ি নেই। এ জৈব সার মাটির পানি ধরন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে জমিতে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব। এ কারনে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কেঁচো সারের চাহিদা বাজারে ব্যাপক বেড়েছে। বেকার যুবকরা প্রশিক্ষন নিয়ে স্বল্প বিনিয়োগে এ সার উৎপাদন করে স্বামলম্বী হতে পারেন। এতে ঝুঁকি ও পরিশ্রম দুটোই কম। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: