বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানে কৃষকের স্বপ্নপূরণ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ১ জুন ২০২২, ০৪:৫৪

সংগৃহীত

নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু-১০০ বা ব্রিধান-১০০ জাতের ধান আবাদ করে সফল হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার চাষীরা। উচ্চ জিংকসমৃদ্ধ এ ধানের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কীটনাশকের ব্যবহার কম। ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। অন্যদিকে বোরো জাতের অন্য যেকোনো ধানের চেয়ে এর ফলনও বেশি। ফলে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান আবাদে অধিক লাভ হচ্ছে চাষীদের।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রচলিত ধানের সর্বাধিক গড় ফলন বিঘাপ্রতি ২২-২৫ মণ। অথচ নতুন জাত বঙ্গবন্ধু-১০০’র গড় ফলন হবে বিঘায় অন্তত ৩০ মণ। নতুন জাতের এ ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কৃষকদের কম খরচে লাভ বেশি হবে। এ জাতের ধান পেয়ে কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মণিরামপুর গ্রামের চাষী বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি এ বছর পরীক্ষামূলক দেড় বিঘা জমিতে ব্রিধান-১০০ আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যেই সফলতা ধরা দিয়েছে তার ধানক্ষেতে। তিনি বলেন, ধানের গোছায় পাতার পরিমাণ কম এবং ধানের শীষ অনেক বেশি। ফলে এ ধান অন্যান্য বোরো ধানের চেয়ে ফলন অনেক বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু-১০০ বা ব্রিধান-১০০ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ ধানে অধিক পরিমাণে জিংক রয়েছে। রয়েছে অ্যামাইলোজ ও প্রোটিনও। ব্রিধান-১০০ জাতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৮৪ চেয়ে অন্তত ১৯ ভাগ বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

চাষীরা জানান, বাংলাদেশে বোরো মৌসুমে আবাদ হবে ব্রিধান-১০০। ধানটি দেখতে মাঝারি চিকন। এর শীষ সংখ্যাও অনেক বেশি। দানাগুলোও সুন্দর, পরিপুষ্ট ও ঝরঝরে। অচিরেই এ জাতের ধান কৃষকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা চাষীদের।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ইতিমধ্যে ব্রিধান-১০০ ধানে দানা বাধতে শুরু করেছে। এ ধানের উচ্চ ফলনের ফলে দেশের ধান উৎপাদন আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। ব্রিধান-১০০ বা বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান কৃষকের কাছেও সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ এ ধানের আবাদ খরচ কম হলেও ফলন অনেক বেশি। ফলে কৃষকরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে দেশে খাদ্যযোগানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ব্রিধান-১০০।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: