"পরিবেশ দূষণরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে"

মোংলা প্রতিনিধি | ৩১ মে ২০২২, ০৬:১৫

সংগৃহীত

 ''ক্রমবর্ধমান মানুষের চাহিদার কারণে ঘরবাড়ি শিল্প কারখানা আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যাপক হারে বাড়ছে বৃক্ষ নিধন। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কলকারখানা, যানবাহনে প্রতিমুহূর্তে পুড়ছে কাঠ, তেল, কয়লা। শিল্প কারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্য পদার্থ পরিবেশকে দূষিত করছে''। 

দাতা সংস্থা টিয়ার ফান্ডের সহযোগিতায় উন্নয়ন সংস্থা সালোম কর্তৃক আয়োজিত ক্যাম্পেইনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সালোম মোংলার এরিয়া ব্যবস্থাপক তাপস বাড়ইর সভাপতিত্বে সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০ টায় সেন্ট পলস ক্যাথলিক চার্চ চত্বরে আয়োজিত ক্যাম্পেইনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন,শেলাবুনিয়া ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত রেভাঃ ফাদার দানিয়েল মন্ডল, কানাইনগর সেন্ট যাকোপ চার্চের ডিকন রেভাঃ স্টালিন পল্লব সরকার, মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প, শেলাবুনিয়া বিডি-০৩৩৬ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার রুপক অধিকারী প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, "পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বে একটি বড় সমস্যা। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ করছি। পরিবেশ আমাদের জীবন রক্ষাকারী বললে ভুল হবে না। বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুই আমরা পরিবেশ থেকে গ্রহণ করে থাকি। প্রতি সেকেন্ডে আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা পরিবেশের উপাদান গাছ থেকেই পাই। প্রতিনিয়ত আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা পরিবেশের দান। কিন্তু মানুষ নিজের জীবনকে শান্তিতে পার করার উদ্দেশ্যে বন কেটে বাড়ি নির্মাণ, গাড়ি তৈরি, সড়ক নির্মাণ করছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি বয়ে আনছে। আমাদের জীবনযাত্রায় আজ একদিকে বিজ্ঞানের বিজয় গৌরব, অন্যদিকে দূষণের দুঃস্বপ্ন। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণের মতো ক্ষতিকর প্রভাব এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী।"

অনুষ্ঠানে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের উপর বিশেষ নাটিকা প্রদর্শ করেন সালোম মোংলায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কমিউনিটি অর্গানাইজারবৃন্দ।

সালোম এর মনিটরিং অফিসার শিমন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার আশুতোষ মিস্ত্রি, জেন্ডার সিও খ্রিষ্টিনা হিয়া বাড়ই, জেন্ডার অফিসার এলিজাবেথ সরকারসহ কমিউনিটি অর্গানাইজারবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ দূষণের উপর প্রদর্শিত নাটিকার কুইজ প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বক্তিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে মোংলা পৌরসভা, চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দেড় শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: