জেলার আদিতমারী উপজেলায় গোবর্দ্ধন হায়দারীয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লেনদেন করে পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে স্কুল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে অবৈধভাবে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানানো হয়।লিখিত বক্তব্যে নিয়োগ প্রত্যাশী আঃ হারেছ বলেন, সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ে দুইটি পদে নিয়োগ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
যেখানে অর্থ লেনদেন করে পছন্দের লোককে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির লোকজন।এছাড়াও অফিস সহকারী পদে ১৭ জন ব্যাক্তি আবেদন করলেও রোকনুজ্জামান রোকন নামের একজনের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক ও মশিয়ার রহমান নামে আরেকজনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগের পায়তারা করছে।সতেরো জন অংশগ্রহণকারীকে লোকদেখানো পরীক্ষা নিয়ে এই নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার চেস্টা করছে বলেও জানানো হয়।এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অর্থ বানিজ্য করে কৌশলে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত পূর্বক এই নিয়োগ বাণিজ্য বাতিল করে সুষ্ঠু নিয়মে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার দাবী জানান এলাকাবাসী।মহিষখোচা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন সাদ্দাম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া দুইটি পদের একটিতে আমার বোনকে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষকের সাথে সাত লাখ টাকা কন্ট্রাক্ট হয়। আমি দেড় লাখ টাকা দিয়েছি বাকিটা নিয়োগের পর দেওয়া কথা ছিলো। কিন্তু তিনি কমিটির লোকের ছেলের বউকে টাকার বিনিময়ে চাকুরী দিয়েছে। আমার টাকার জন্য আমাকে ঘোরাচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সভাপতি হলেও তার কথার কোন মূল্য এখানে নাই।মহিষখোচা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদ হোছত বলেন, এই স্কুলে এক নায়কতন্ত্র চলে, সভাপতি বা এলাকাবাসীর কিংবা জমিদাতাদের কোন ভিসা নাই। নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটিতে আমরা পাঁচজন আসলেও তারা ক্ষমতার বলে আমাদেরকে বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি দখল করে আছে। নদী ভাঙনের শিকার অনেকেই এখানে আবেদন করলেও টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
আগামী মাসের তিন তারিখ প্রধান শিক্ষকের মেয়াদ শেষ হলেও কমিটিকে ম্যানেজ করে আবারও দুই বছরের জন্য ওই পদে থাকার পায়তারা করছেন বলেও অভিযোগ তার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিসত্তর তদন্ত করে অবৈধভাবে দেওয়া এসব নিয়োগ বাতিল ও সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ দেওয়া দাবি জানান এলাকাবাসী।এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহানের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের আসার খবরে প্রতিষ্ঠান থেকে গোপনে সটকে পড়েন। তার মোবাইলে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: