ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে 'হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস' পালন

এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি | ১৭ মে ২০২২, ০৪:০৯

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘হাসামদিয়া গণহত্যা’ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার উপজেলার হাসামদিয়ায় অবস্থিত শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি নামফলকে বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শাহ জাফর টেকনিকাল কলেজ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাজী তারেক পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সাবেক সহকারি কমান্ডার কে এম জহুরুল হক জহুর, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আ. রউফ সিদ্দিকী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর দেবাশীষ সাহা, জীবন কৃষ্ণ রায়, ডা. বিধান চন্দ্র দে, মহাদেব চক্রবর্তী, বিনোদ বালা দে প্রমুখ। আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ মে তিন শতাধিক পাকসেনার একটি বহর যশোর থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ডিপুটি কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর ও তার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধানে আসে। সেই সময় তাদের না পেয়ে পাক বাহিনীর দোসর এবং স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় হাসামদিয়া, রামনগর, রাজাপুর, ময়েনদিয়া, রাজাবেনি, মিঠাপুর পোয়াইলসহ কয়েকটি গ্রামের ৩৩ জন নিরস্ত্র, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর।

এছাড়াও স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারের চালানো হয় লুটপাট এবং জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৫০ এর অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: