ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়

এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি | ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন। এমনকি সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা অডিও ক্লিপটিও তার কন্ঠ নয় বলে দাবী করেছেন তিনি।

তিনি জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি চক্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ভুল তথ্য পরিবেশন করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অডিও ক্লিপটি প্রসঙ্গে তিনি দাবী করেন, এমন কথা তিনি কখনো বলেননি। ডিজিটাল সিস্টেমে ক্লোনিং করে তার ভয়েসের অনুরুপ ভয়েস তৈরি করে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি চক্র এটি করেছে দাবী করেন তিনি। এটিকে তিনি সুপার এডিট দাবী করে বলেন, এই বক্তব্য আমার নয়। জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ায় একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব করছে।

এদিকে এর আগে একটি পত্রিকায় মেয়রের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগও সঠিক তথ্য নির্ভর নয় বলে দাবী করেন তিনি। চার কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ী নির্মানের অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে তিনি জানান, আড়াই শতাংশ জমিতে ভবন নির্মাণে সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে এই বাড়ীটি নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়ী নির্মাণ ব্যয়ের তথ্য প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সড়কের শ্রীবৃদ্ধিও বনায়নে মন্ত্রনালয়ের দেয়া ২৫ লাখ টাকা ব্যায় দেখিয়ে ২২ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটিও সঠিক নয় দাবী করে তিনি জানান, পৌরসভার উন্নয়ন তহবিল থেকে বনায়ন কর্মসুচীর এই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে মন্ত্রনালয়ের দেয়া টাকায় এই কাজ করা হয়েছে তবে মেয়র পদ থেকে নিজেই অব্যহতি নিবো এবং যে শাস্তি হয় আমি মাথা পেতে নিবো।

পৌরসভার গোরুর হাটের দরপত্র আহ্বানে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে মেয়র বলেন, এই হাটের সরকারী রেট ছিলো চার কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা, সর্বোচ্চ দরদাতাকে চার কোটি ৯৮ লক্ষ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই। এক্ষেত্রে এক বিন্দু আইনের ব্যত্তয় ঘটানো হয়নি।

আর পৌরসভার কর্মচারী বদলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলাল নামে যে ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, ওই ব্যাক্তির পদমর্যাদা হিসাব সহকারী, পুর্বের মেয়র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে দ্বায়িত্ব না দিয়ে হিসাব সহকারীকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দ্বায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন, তার কাছে চেকও রাখতেন, যা নিয়মের মধ্যেই পড়েনা। আমি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। আর বদলীর বিষয়টি মন্ত্রনালয়ের ব্যপার, আমি কাউকে বদলী করিনি।

তবে কয়েকজন অনিয়মিত বা দৈনন্দিন হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছি কারণ, তারা জন্মনিবন্ধন, ট্রেডলাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক অনিয়ম করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করেছে, যা তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিতও হয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই লাখ টাকা ফেরতও দিয়েছে, বাকী সাড়ে চার লাখ টাকা পরিশোধে চিঠিও দেয়া হয়েছে তাদের, যথা সময়ে টাকা পরিশোধ না করা হলে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: