ফরিদপুরে নারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি | ২২ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫৯

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডাব খাইয়ে ২০ ভারি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় নারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ক্রেতা বেশে দুই নারী গত ১৭ এপ্রিল শহরের নীলটুলী সড়কের তারকেশ্বর জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে যান স্বর্ণালংকার কেনার উপলক্ষ দেখিয়ে। প্রথম দিনে তারা দোকান মালিক শংকর দত্তের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং কেনাকাটা না করে চলে আসেন। পরদিন ১৮ এপ্রিল ফের ওই দোকানে গিয়ে স্বর্ণালংকার দেখাতে বলেন। দোকানী স্বর্ণালংকার বের করলে ওই নারীদ্বয় সখ্যতার অজুহাতে একটি ডাবের পানি খেতে দেন এবং নিজেরাও একটি ডাবের পানি খান। সেই পানি খাওয়ার কিছু সময় পর দোকানী সংঙ্গা হারিয়ে ফেললে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।

এঘটনায় ওই দোকানী দুই দিন সঙ্গাহীন থাকার পর জ্ঞান ফিরে আসলে পুলিশের দ্বারস্ত হন। পুলিশের উপ পরিদর্শক সুজন বিশ্বাস ঘটনাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ এলাকা থেকে সোহানা নামের এক নারীকে আটক করেন, এবং তার স্বিকারোক্তি মোতাবেক ফরিদপুরের ডিআইবি বটতলা এলাকা থেকে রিমি আক্তার নামের আরো এক নারীকে আটক করেন। এদের উভয়ের বাড়ী ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন এলাকায়। এসময় তাদের নিকট থেকে খোয়া যাওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে কয়েকটি চেইন উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, স্বর্ণালংকার লুট করার পর ওই নারীরা উল্টো পুলিশের কাছে তাদের শ্লীলতাহানী করা হয়েছে বলে অভিযোগ দেয় সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, এই চক্রে আরো এক নারী সদস্য রয়েছে, তারা তিনজন মিলে ধনাঢ্য ব্যাক্তি ও তাদের সন্তানদের টার্গেট করে নানা ভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডাব খাইয়ে ২০ ভারি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় নারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, ক্রেতা বেশে দুই নারী গত ১৭ এপ্রিল শহরের নীলটুলী সড়কের তারকেশ্বর জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে যান স্বর্ণালংকার কেনার উপলক্ষ দেখিয়ে। প্রথম দিনে তারা দোকান মালিক শংকর দত্তের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং কেনাকাটা না করে চলে আসেন। পরদিন ১৮ এপ্রিল ফের ওই দোকানে গিয়ে স্বর্ণালংকার দেখাতে বলেন। দোকানী স্বর্ণালংকার বের করলে ওই নারীদ্বয় সখ্যতার অজুহাতে একটি ডাবের পানি খেতে দেন এবং নিজেরাও একটি ডাবের পানি খান। সেই পানি খাওয়ার কিছু সময় পর দোকানী সংঙ্গা হারিয়ে ফেললে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।

এঘটনায় ওই দোকানী দুই দিন সঙ্গাহীন থাকার পর জ্ঞান ফিরে আসলে পুলিশের দ্বারস্ত হন। পুলিশের উপ পরিদর্শক সুজন বিশ্বাস ঘটনাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ এলাকা থেকে সোহানা নামের এক নারীকে আটক করেন, এবং তার স্বিকারোক্তি মোতাবেক ফরিদপুরের ডিআইবি বটতলা এলাকা থেকে রিমি আক্তার নামের আরো এক নারীকে আটক করেন। এদের উভয়ের বাড়ী ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন এলাকায়। এসময় তাদের নিকট থেকে খোয়া যাওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে কয়েকটি চেইন উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, স্বর্ণালংকার লুট করার পর ওই নারীরা উল্টো পুলিশের কাছে তাদের শ্লীলতাহানী করা হয়েছে বলে অভিযোগ দেয় সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, এই চক্রে আরো এক নারী সদস্য রয়েছে, তারা তিনজন মিলে ধনাঢ্য ব্যাক্তি ও তাদের সন্তানদের টার্গেট করে নানা ভাবে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: