লালমনিরহাট সদরে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু; মহাসড়ক অবরোধ 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি | ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৩

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটে সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে জুয়া খেলার অভিযোগে বৈশাখী মেলা থেকে রবিউল ইসলাম খাঁন (২৫) ও শ্রী পোল্লাদ মেকার (৪০) নামে দুই জনকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে রবিউল নামে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জেলার মহেন্দ্রনগরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। এসময় অবরধকারীরা পুলিশের একটি গাড়ী ভাংচুর করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার চর্কেরথান নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রবিউল ইসলাম খাঁন সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের কাজীরচওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে আটক অপর পোল্লাদ রায় দক্ষিণ হিরা মানিক এলাকার মৃত রসনি চন্দ্রের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার ১লা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা চলছিল। এসময় সেখানে কিছু জুয়ারী ডাবু (ছয়গুটি) জুয়া খেলা বসালে সেখানকার এক ব্যাক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে সাথে সাথে সেখানে পুলিশ এসে জুয়ারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেলায় ঘুরতে আসা শ্রী পোল্লাদ মেকার ও রবিউল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ আটক দুজনকে ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করলে রবিউল ভ্যানে উঠতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশ তাকে বেদম মারপিট করে। এতে রবিউল সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে পাজা কোলা করে তাদের ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের নির্যাতনের কারনেই রবিউল অসুস্থ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানান। পুলিশের নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করছেন।

এদিকে রবিউলের মৃত্যুর খবরে রাত ২ টার পর থেকে উপজেলার মহেন্দ্রনগরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।সড়ক অবরোধকারীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্যাতনকারী পুলিশকে দ্রুত আইনের আশ্রয়ে আনার দাবি জানান।এসময় তারা পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে।পরে ভোর চারটার দিকে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম অবরোধকারীদের তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থ নেওয়া হবে বলে জানালে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, মেলায় জুয়া চলছে এমন খবরে পুলিশ অভিযান চালায় এবং দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার সময় একজন অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসার জন্য সরাসরি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক অসুস্থ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার্ড করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সে মারা যায়। তিনি জানান এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: