নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় লঞ্চের ধাক্কায় ধলেশ্বরী নদীতে ডুবে গেছে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার। এ দুর্ঘটনার পর অন্তত ১২ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, সকালে খেয়াঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নদী পার হচ্ছিল ট্রলারটি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোহনার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সোবহানের সঙ্গে প্রচণ্ড ধাক্কা লাগলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
তিনি বলেন, ট্রলারে থাকা যাত্রীদের অনেকে আশপাশের নৌযানের সহায়তায় এবং সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কিন্তু ১২ জনের এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ছয় জন ডুবুরি সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছেন। পাশাপাশি নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছেন।
আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশিও চলছে। এখনও কারও মৃত্যুর তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নদীর ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, ঘন কুয়াশার কারণেই লঞ্চ আর ট্রলারের সংঘর্ষ হয়েছে, কেউ কাউকে দেখতে পায়নি।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য লঞ্চ থেকে লাইফবয় ফেলা হলেও ঘন কুয়াশার কারণে সেগুলো দেখতে পাননি পানিতে থাকা যাত্রীরা। নিখোঁজের স্বজনরা এখন নদী তীরে ভিড় করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও মো. রিফাত ফেরদৌস জানান, এ পর্যন্ত ১২ যাত্রী নিখোঁজ থাকার তথ্য তারা পেয়েছেন। স্বজনদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: