নাটোরে পুকুর থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার

সময় ট্রিবিউন | ৫ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:২৭

ছবি সংগৃহীত

নির্বাচনের প্রায় এক সপ্তাহ পর ২টি পুকুর থেকে সিলসহ ২ ব্যাগ ব্যালট উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নাটোরের সিংড়ার ৫ নং চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া মহিষমারী মরা নদীতে স্থানীয়রা একটি ব্যাগ ভাসতে দেখে। ব্যাগটি উদ্ধার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল করিমের মোটরসাইকেল মার্কা ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রশিদুল ইসলামের নৌকা প্রতীকে সীল দেওয়া ব্যালট খুঁজে পায় তারা।

স্থানীয়রা জানান, ব্যাগটিতে মোটরসাইকেল মার্কার অনেকগুলো ব্যালট এবং নৌকা মার্কারও কিছু সংখ্যক ব্যালট রয়েছে।

এদিকে, সকাল ১১টায় বিলদহর মৎসজীবি পাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনের পুকুর থেকে আরও একটি ব্যালটভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় যুবক হাসান আলী জনি বলেন, '২-৩ জন মানুষকে পুকুরপাড়ে দেখতে পাই। তাদের পাশেই ব্যালট পরে ছিল। তখন আমি সবাইকে জানাই।'

উদ্ধার করা অধিকাংশ ব্যালটে মোটরসাইকেল প্রতীকে এবং কিছু সংখ্যক নৌকা প্রতীকে সিল মারা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছলাম বলেন, 'মঙ্গলবার সকালে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তবে নির্বাচনের দিনের ব্যালট পেপারের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারের মিল নেই। উদ্ধারকৃত ব্যালটগুলোতে সিল থাকলেও কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নেই। এসব জাল ব্যালট বলে নিশ্চিত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ও নৌকার প্রার্থী রশিদুল ইসলাম মৃধা বলেন, 'ব্যালট উদ্ধারের কথা শুনে উপজেলা পরিষদে ছুটে এসেছি। রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছি যেন সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে বিষয়টি দেখেন। আমার ধারণা, ভোটের দিন ব্যালট চুরি হয়েছিল সেসব ব্যালটই এবার পাওয়া গেল।'

চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী রবিউল করিম বলেন, 'নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছিল। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছিল। আমাকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছে।'

চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান স্বপন বলেন, 'ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা শুনেছি এবং ফেসবুকে দেখলাম। এসব জাল ব্যালট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ব্যালটগুলো ভেজা ছিল না সবই শুকনো ছিল। সকালেই কেউ পুকুরে ফলে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে ধারণা করছি।'

গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৭ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল করিম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের রশিদুল ইসলাম মৃধা ৩ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়েছেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: