নিজ সন্তানকে ধর্ষণ করল বিএনপি নেতা

সময় ট্রিবিউন | ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:১৫

ছবিঃ সংগৃহীত

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির বিরুদ্ধে নিজের চার বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তারই স্ত্রী । চলতি ডিসেম্বরের প্রথম দিন রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা (মামলা নম্বর কলাবাগান-১/২২৩) করেন তিনি।

মামলার বাদী অভিযোগ অভিযোগ করেন, মামলার পর তিন সপ্তাহ ধরে আসামি ইব্রাহীম রহমান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উপরন্তু, চলতি সপ্তাহে হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন তিনি।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত চলছে। তিনি চিকিৎসকদের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছেন।

এজাহারে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, বিবাদীর (ইব্রাহীম রহমান রুমি) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশুকন্যাকে উত্তরার তার (আফিয়ার) বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন। শিশুটির মাযের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যাশিশুকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, এ বছরের ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও শিশুসন্তানটিকে নিজের কলাবাগানের বাসায় আনেন ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে চার বছরের শিশুটিকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পরিহিত পোশাক পরিবর্তনকালে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি। এজাহারে শিশুটির ওপর শারীরিক নিপীড়ন ও নিগ্রহের অভিযোগ বর্ণনা করেন বাদী।

নির্যাতিত শিশুর মা এজাহারে উল্লেখ আরও করেন, গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় আমার মেয়ের অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে মেয়ে… (প্রকাশযোগ্য নয়)। এরপর গত ২৭ নভেম্বর বিকালে নিপীড়নের শিকার শিশুসন্তানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান তার মা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিশুটিকে ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তির জন্য রেফার করেন। ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার শিশুটির যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

শিশুটির ওপরে নির্যাতনের অন্তত একমাস পর কেন অভিযোগ করা হলো— এমন প্রশ্নের জবাবে শিশুটির মা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ও যে সময়টাতে তার বাবার বাসায় ছিল, আমি তখন ইটালিতে ছিলাম। আমি তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইনি। ওর মুখের ভেতর ঘা, পিঠে নখের আঁচড় দেখে আমি ওকে (শিশু) জিজ্ঞাসা করি। ও তখন বলে— ওর পাপা কী কী করেছে (প্রকাশযোগ্য নয়)। এরপর আমি ওর বাবাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি— তোমার মেয়ের সঙ্গে কী করেছো? ও তো তোমার কথা বলছে। ওর বাবা বলে— ও মিথ্যা বলছে।’

শিশুটি বর্তমানে শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও মানসিকভাবে ভালো নেই বলে জানান তার মা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: