বরগুনার রাসেল শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান, শাশুড়িসহ ৯ আত্মীয়কে নিয়ে ঢাকা থেকে অভিযান-১০ লঞ্চে ফিরছিলেন গ্রামে। লঞ্চে যখন আগুন লেগে যায় তখন প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন দুই সন্তানকে বাঁচাতে।
সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে আগুনে দ্বগ্ধ হয়েছেন মারাত্মকভাবে। নিজে পুড়েও দুই সন্তানকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপে হাসপাতালে বিলাপ করছেন।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে আইসিইউর সামনে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান রাসেলের স্বজন রুপা এবং কোহিনুর।
অপরদিকে রাসেলের স্ত্রী পুতুলও দগ্ধ হয়ে বরিশালে আইসিইউতে রয়েছে। রোববার সকালে তাদের সঙ্গে থাকা তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও সন্তানদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শাশুড়ি, শ্যালকের স্ত্রী এবং শ্যালকের মেয়ের মরদেহ পাওয়ার পর বরগুনায় নিজ এলাকায় তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: